বগুড়া সারিয়াকান্দিতে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। দোকানপাটসহ ৭ টি বসতবাড়ীতে হামলা ভাংচুর এবং সাড়ে চার লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ। এ বিষয়ে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের জিল্লুর রহমান প্রামানিকের ছেলে রজিব উদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে শনিবার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের নাদু আকন্দের ছেলে লিমন আকন্দ (২০), কারিম আকন্দ (১৮), গোলজারের ছেলে পারভেজ মিয়া (২০), মোকলেছের ছেলে সাকিব মিয়া (১৯), তোরাব আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া (২০), মহিদুল ইসলামের ছেলে সাবলু মিয়া (২২), ভোলার ছেলে ফলটু মিয়া (২৫) গণের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথমে রজিব উদ্দিনের দোকানঘর এবং বসতবাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় তার দোকানের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল এবং নদগ টাকাসহ লুট করে নিয়ে যায় এবং রজিব উদ্দিননের গলায় ছুরির আঘাত করে পালিয়ে যায়। কৌশলে রজিব উদ্দিন মারাত্মক আঘাত হতে রক্ষা পান। এরপর কিশোর গ্যাংটি পার্শ্ববর্তী জহুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, আয়নাল হক, নারগিস বেগম, শিউলি বেগম এবং রুবি বেগমের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং কয়েকজনের বাড়ি থেকে ১ লাভ ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
রজিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ির দোকানের সামনে ইতঃপূর্বে একটি মারামারি হয়েছিল। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা মনে করে আমরা তাদের প্রতিপক্ষকে সহযোগিতা করেছি। এ সন্দেহ থেকেই তারা আমাদের দোকানঘর এবং বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাতে রামদা, বড় ছুরি, হাসুয়াসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তা চাই। ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ এনে আমরা ক্ষনিকের জন্য রক্ষা পেতে হয়েছে।
ভুক্তভোগী রুবি বেগম বলেন, আমাকে আমার ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আমার ওড়না ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং আমার বাড়ীঘরের বেড়া অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। তখন যুবক ছেলেরা আমার শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থল ইতিমধ্যেই আমরা পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।