কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ীতে গিয়ে হামলা ও মারপিট এর অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ জুন সকালে উপজেলার টাঙ্গালিয়া পাড়ায় এমন ঘটণা ঘটে। ৯৯৯ এ ফোন কলের ভিত্তিতে রাজীবপুর থানা পুলিশ ঘটণাস্থলে গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করে। এঘটণায় এক পরিবারের ৫জন অপর পরিবারের ৩জন মোট ৮জন আহত হয়েছে। হামলার শিকার পরিবারটি রাজীবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটণাস্থলে গিয়ে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, টাঙ্গালিয়া পাড়ার হাশেম মন্ডলের ছেলে মোতালেব জমির মূল মালিক মজিবর এর নিকট থেকে ১২ শতাংশ জমি যার খতিয়ান নং-৭২৫, দাগ নং ৩৭৫৭ ও ৩৭৫৮ ক্রয়সূত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে রয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ফিরোজ মন্ডল ভূলবসত অন্যের নামে রেকর্ড হওয়া ওই জমিটি গোপনে রেকর্ডমূলে ক্রয় করে। ফিরোজ মন্ডল জমি ক্রয় করেই বিভিন্ন সময়ে ওই জমিটি জোরপূর্বক ভোগ দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছিল। যার ফলে মোতালেব জমিটির রেকর্ড কর্তণের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে ২০২১ সালে সিভিল মামলা দায়ের করে এবং সেটি চলমান রয়েছে যার মামলা নং-৬৩।
মোতালেব এর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই জমিতে তার একটি গুদাম ঘরের মেরামত কাজ করছিল। ফিরোজ মন্ডলের ছেলে শহিদুল তার কাজে বাধা দিলে বাক-বিতন্ড হয়। এলাকার লোকজন দুই পক্ষকে শান্ত করে। কিছুক্ষণ পরে শহিদুল তার দলবল এবং দেশীয় অস্ত্র সাবল, রড, কাঠের চলা, লাঠি নিয়ে মোতালেব এর বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে এলাপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে মোতালেব, তার মা তারাভানু, স্ত্রী সাবিনা ও দুই ছেলে সোহেল এবং শাহীনকে। স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে রাজীবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। তার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হামলার শিকার হওয়া মোতালেব জানান, আমার ক্রয়কৃত জমি আমি দখলে আছি ৮ বছর যাবৎ। এলাকার সবাই জানে গুদাম ঘরটিও আমার। সামনে বৃষ্টি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় মেরামত কাজ করছিলাম। আমাকে কাজে বাধা দিলে হালকা ঝগড়া হয়। গ্রামবাসী শহিদুলকে সরিয়ে নিয়ে যায়। কাজ শেষ করে আমি আমার বাড়ীতে ঢোকা মাত্রই দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে আমাদের মারপিট করছে। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে বিবাদি শহিদুল বলেন, আমরা হামলা করিনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধে ওরাই হামলা করছে। সামনা সামনি আসেন কথা বলি।
রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।