জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড তাপদাহ ও সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারণে পাবনার সুজানগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র আওতাধীন সুজানগর আঞ্চলিক অফিসের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, গত ১০/১৫দিন হলো সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে সীমাহীন লোডশেডিং। দিনের পাশা-পাশি রাতেও দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। কখনও কখনও দিনের তুলনায় রাতেই বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। রাতে এবং দিনে এক ঘন্টার ব্যবধানে ২/৩ বারও লোডশেডিং দেওয়া হয়। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক আবদুল আজিজ বলেন সুজানগর পৌর শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সব চেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে এক ঘন্টার ব্যবধানে ৪/৫ বারও লোডশেডিং দেওয়া হয়। সীমাহীন এই লোডশেডিংয়ের কারণে এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ নির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশা-পাশি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অফিস-আদালত, ব্যাংক বীমা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের ফলে স্থানীয় সাংবাদিকরা সুষ্ঠুভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, লেখা-পড়া করার উপযুক্ত সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। অথচ ওই সময়েই বিদ্যুৎ থাকেনা। ফলে তাদের লেখা-পড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মোঃ সাহিদুল ইসলাম বলেন চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। সেকারণে লোডশেডিং হচ্ছে।