চাঁদপুর জেলা কারাগারে হার্ট অ্যাটাকে পৌর বিএনপির সাবেক নেতা মো. আলম খাঁনের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। ৫ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাঁর মৃত্যু হয়। আলম খান চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি ওয়াপদা গেইট এলাকার শামসুল হক খাঁনের ছেলে। তিনি চাঁদপুর পৌর বিএনপির ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। চাঁদপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইউসুফ বলেন, ‘সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে কারাগারে আলম খাঁন অসুস্থতা বোধ করলে তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে পরিবারের সদস্যরাও তাৎক্ষণিক হাসপাতালে আসেন।
আলম খাঁনের বাবা শামসুল হক খাঁন জানান, চাঁদপুর আইএফআইসি ব্যাংকে তার ছেলে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ঋণ ছিল। কিন্তু ঋণের চাইতে অধিক টাকার মর্গেজও ছিল ব্যাংকে। এরপরও মামলার কারণে তাঁর সাজা হয়। ছেলের মৃত্যুতে তিনি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুশান্ত বিশ্বাস জানান, আলম খান নামে ব্যক্তির ইসিজি করে দেখা গেছে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি হাসপাতালেই মারা যান।
চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন বলেন, গত ২১ এপ্রিল এনআই অ্যাক্টের মামলায় আসামি আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে বুকে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে কারাগারের সহকারী সার্জনের পরামর্শে সোয়া ৮টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।
জেলার আরও বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যুর প্রমাণপত্রে মৃত্যুর কারণ এমআই কার্ডিওজেনিক শক উল্লেখ করেন। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বিএনপির পরিচিত এই নেতার মৃত্যুর খবরে সকালে অনেকের ঘুম ভাঙ্গে। ভিডিও দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীর মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকেই তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান।