“কথায় বলে গরুর মুখে দিলে ঘাস, দুধ পাবেন বারোমাস” গবাদি পশুকে তার প্রাপ্যতা অনুযায়ী ঘাস সরবরাহ করা গেলে তার দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, স্বাস্থের উন্নতি ঘটে এবং সুস্থ্য সবল বাছুর পাওয়া যায়। গবাদি পশুকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান ঘাস সরবরাহ করা গেলে তার খাদ্য খরচ অনেক কমে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, নেপিয়ার জাতীয় ঘাসের নমুনা থাইল্যান্ডের পাকচং এলাকা থেকে আনা হয়েছে। এ ঘাস অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। গো খামার প্রজনন ও দুগ্ধ খামারিরা এ ঘাস চাষে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এ ঘাসটি সবুজ, রসালো, মোটা কান্ড, পাতা মসৃন, খুবই সুস্বাদু ও উচ্চ ফ্রুড প্রোট্রিন সমৃদ্ধ। এ ঘাস বিক্রির জন্য উপজেলার প্রায় ৪০ টি হাট ও বাজারে ঘাসের বাজার করা হয়েছে। উপজেলায় ১১ শত ৮৭ টি গাভীর খামার, ৯ শত ৩৩ টি গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার, ৩ শত ৫০ টি ছাগলের খামার, ১ শত ৫০ টি ভেড়ার খামার রয়েছে। ওই খামার গুলিতে দৈনিক ৫ লক্ষাধিক টাকার নেপিয়ার ঘাসের প্রয়োজন হয়।
উপজেলার কারেন্টহাট বাজারের ঘাস বিক্রেতারা বলেন ৫ টাকা আটি দরে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি নেপিয়ার ঘাসের আটি বিক্রি করা হয়। এতে তার দৈনিক আয় ১০ হাজার টাকারও বেশি হয়। বাড়িতে ৫ টি গরুর জন্য প্রতিদিন ২০ টি করে আটি লাগে। এ ঘাসটি গরুগুলি ভাল খায়। এতে করে অন্যান্য খাবারের খরচ কম পড়ে।
চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানায়, প্রায় সাড়ে ৪ শত একর জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ রয়েছে। এ ঘাসের পুষ্টিগুন খুব উন্নত। গরুর দুধ বেশি হয় ও গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। খামারিরা লাভবান হচ্ছে। এ ঘাস চিরিরবন্দর উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তি উপজেলা গুলোতেও যায়।