পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া এশিয়ান হাইওয়ের সদ্য সংস্কার কাজের পর তীব্র গরমে বিটুমিন ব্লিডিং হওয়ায় মহাসড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পিচ্ছিল সড়কে যানবাহনের চলাচলে করা সড়ক দূর্ঘটনান আংশকা বাড়ছে।
জানা যায় ২০১২ সালে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা জিরোলাইন পর্যন্ত নির্মিত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এশিয়ান হাইওয়ের সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নে উউইঝঞ উন্নতমানের ‘হেয়ার ক্লার লস্পিট বিটুমিন’ সংস্কার কার্বেটিং কাজ চলছে। এই সংস্কার কাজের পর ব্যবহৃত বিটুমিন থেকে ব্লিডিং হওয়ায় পাথরকে ধরে রাখতে পারছে না। এদিকে গত সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপদাহে বিটুমিন গোলে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। ফলে বিটুমিনের ব্লিডিং থাকায় সড়কে যানবাহন চলাচরে ব্রেক চাপলে গাড়ীর চাকা পিছলে/ স্লিপ করে ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া সংস্কার কাছে ব্যবহৃত ধারালো ভাঙ্গা পাথরের টুকরা অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, প্রাইটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, যাত্রীবাহী মিনিবাস চরম ঝুঁকির মুখে চলাচল করছে। ধারালো ভাঙ্গা পাথরের টুকরার আঘাতে চাকার টাইয়ার ফুটে প্রতিনিয়ত জনসাধারণ সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিগত ৫ মাসে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কে প্রায় অর্ধশতাধি ছোট- বড় সড়ক দূর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু সহ কেউ গুরুত্বর আহত হয়েছে।
এব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পঞ্চগড়, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন, শীতকালে কাজ শুরু করায় সড়কের কিছু কিছু স্থানে বিটুমিন বেশি পরিমাণ পড়েছিল। এখন তীব্র গরমে ওইসব স্থানে বিটুমিন ব্লিডিং হচ্ছে। সড়কে ব্লিডিংযুক্ত স্থানে গুঁড়া পাথর ও বালু ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমান সংস্কার কাছের কোন সমস্য হচ্ছে না।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণসম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) বলেন, তীব্র গরমে সড়কের বিটুমিন গোলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।