যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বাণজ্য শহর নওয়াপাড়ায় জেলা পরিষদেও জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার নওয়াপাড়া নূরবাগ যশোর-খুলনা মহাসড়ক বাসস্টান্ডের পাশে আবস্থিত জায়গায় ১৮টি অবৈধ পাঁকা ঘর উচ্ছেদ করেন যশোর জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত একশ্রেণির লোক জেলা পরিষদের ১১শতক ১৬ পয়েন্ট জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর র্নিমান করে ব্যবসা করে আসছেন। পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যশোর বিজ্ঞ আদালতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করা হলে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মান করে ব্যবসা করতে থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হলে হাইকোর্ট মামলাটি শুনানি অন্তে অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ দেন। মহামান্য হইকোর্ট মামলার বিবাদিদের কে ৫দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না ফেলায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন যশোর জেলা পরিষদ। এ বিষয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাবসায়ী জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করে এই উচ্ছেদ অভিযানের সহায়তা করেছি। আমাদের দাবী যদি এ জায়গায় মার্কেট তৈরি হলে আমাদের যেন অগ্রাধিকার দেয়া হয়। উচ্ছেদের বিষয় জেলা পরিষদের সদস্য আবদুর রউফ মোল্যা বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বহুতলা বিশিষ্ট মার্কেট করা হবে। এবং এখানে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করতেন তাদেরকে অগ্রাধিকার বিত্তিতে দোকানঘর বরাদ্ধ দেয়া হবে। শান্তিপূর্ন ভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সকলের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আবদুর রউফ মোল্যা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সরদার, সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান, নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল হামিদ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্স ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।