সিটি নির্বাচনে নৌকা ডুবাতে হাতপাখা মার্কার প্রার্থীকে দুই আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক তিন কোটি টাকা দেওয়ার বক্তব্য দেওয়ায় বিসিসির বর্তমান কাউন্সিলর ও চলমান নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার শেষ কার্যদিবসে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশী অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক নালিশী অভিযোগটি তদন্ত করে কোতয়ালি মডেল থানার ওসিকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি ইসতিয়াক হোসেন রুবেল।
অভিযোগের বিবাদী হচ্ছেন-উল্লেখিত বক্তব্য দেওয়ার পর বহিঃস্কার করা বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদ্য এবং নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রার্থী শরীফ আনিছুর রহমান। সূত্রমতে, গত ৪ জুন একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্ধী কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফিন মাহমুদ তারেকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন শরীফ আনিছুর রহমান। সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে হারাতে তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ঢাকায় বসে হাতপাখাকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে। তার এ বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর ওইদিন রাতেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে শরীফ আনিছুর রহমানকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়।
নালিশী অভিযোগের বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, সিটি নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের সমর্থন দেখে বিবাদী তার অজ্ঞাত নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে হাতপাখার প্রার্থী প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এ বক্তব্যের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত তার বক্তব্যে ইসলামি আন্দোলনের অনুভূতি ও মুল্যবোধের উপর আঘাত করে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছে।