আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে জালনোট ব্যবসায়ী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তারা স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বড় বড় কোরবানির পশুর হাটে ১ হাজার এবং ৫’শ টাকার জালনোট ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী মহল জানান। গত দুই বছর আগে কোরবানির ঈদের আগে আমিনপুর থানা পুলিশের হাতে হাফিজ (৩০) নামে এক জালনোট ব্যবসায়ী আটক হয়। এর আগে সুজানগর থানা পুলিশ ভিটবিলা বাজার থেকে ৩জন জালনোট ব্যবসায়ী ৩০হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়। এঘটনার পর থেকে কোরবানির ঈদ আসলেই কোরবানি পশু ক্রেতাদের মধ্যে জালনোট আতঙ্ক দেখা দেয়।
জানা যায়, এ বছর সুজানগর পৌর বাজার, রাইপুর, শ্যামগঞ্জ, মানিকহাট, কাদোয়া ও সাতবাড়ীয়ায় কোরবানির পশুর হাট বসছে। ইতোমধ্যে ওই সকল হাট-বাজারে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আর এ সুযোগে অসাধু জালনোট ব্যবসায়ী চক্র সক্রিয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন কোরবানির পশুর হাট গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় হয়। আর এ সুযোগে জালনোট ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু ক্রেতা সেজে ওই সকল হাটবাজারে ১হাজার এবং ৫’শ টাকার জালনোট ছড়িয়ে দেয়। এতে প্রতারিত হন কোরবানির পশু বিক্রেতারা। সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন জালনোট ব্যবসায়ী চক্রকে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। তাছাড়া শিগগিরই কোরবানির পশুর হাটবাজারে জালনোট সনাক্ত মেশিন রাখা হবে।