মৃত্যুর নয়বছর পরেও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন হিরণকে ভুলতে পারেনি নগরবাসী। আর তাই আসন্ন সিটি নির্বাচনে সাধারণ মানুষ থেকে সব দলের প্রার্থীদের মুখে মুখে হিরণের নাম। অনেক প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হিরণের গুনগান করে নিজের সঙ্গে হিরণের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরছেন।
হিরণের পর বিগত দশবছরে বরিশাল নগরীতে কোন উন্নয়নমূলক কাজই হয়নি। এমনকি হিরণের সময়কার উন্নয়নমূলক কাজগুলোরও সংস্কার হয়নি। ফলে এবারের নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের ভাবনায় ছিলো হিরণের ন্যায় নগরবাসীকে নিয়ে ভাববেন এমন একজন প্রার্থী। অবশেষে নগরবাসীর জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। গত একমাস ধরে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধীতা করা সাতজন মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে সচেতন নগরবাসী নানা চুলচেড়া বিশ্লেষন শুরু করেন। সবশেষে প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে ভোটাররা শুরু করে বিশ্লেষন। সবধরনের বিশ্লেষন শেষ করে আগামীর নতুন বরিশাল গঠনে একজন ন¤্র, ভদ্র, দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত খোকন সেরনিয়াবাতকে দিয়েই হিরণের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের জন্য সর্বস্তরের ভোটাররা একাট্টা হয়েছেন। এমনকি আলেম সমাজও নৌকার প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন। ফলে প্রচার-প্রচারনার একেবারে শেষসময়ে এসে খোকন সেরনিয়াবাতের নৌকার পালে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এমনকি শওকত হোসেন হিরণের সহধর্মীনি সাবেক সাংসদ জেবুন্নেসা আফরোজও তার স্বামীর (হিরণ) রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের জন্য খোকন সেরনিয়াবাতের নৌকার মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করেছেন। নগরীর সর্বস্তরের ভোটারদের উদ্দেশ্যে জেবুন্নেসা আফরোজ বলেন, দীর্ঘদিন পর বরিশাল নগরবাসীর জন্য আর্শীবাদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের হাতে নৌকা তুলে দিয়ে বরিশালে পাঠিয়েছেন। তাই নগরবাসীর উচিত হবে আগামী ১২ জুনের ভোটে নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে বরিশাল সিটি করপোরেশন উপহার দেওয়া। তাহলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বরিশাল নগরীর উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন সেই উদ্যোগই গ্রহণ করবেন। আর এবারও যদি কোন কারণে প্রার্থী নির্বাচনে নগরবাসী ভুল করেন, তাহলে বরিশাল নগরী গত দশ বছরের চেয়ে আরো পিছিয়ে যাবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে বিরোধী দলের কেউ নির্বাচিত হলে তিনি যেমন পারবেন না সরকারের কাছ থেকে জোর করে কোন বরাদ্দ আনতে, তেমনি নগরীর পরিবেশও ঠিক রাখতে পারবেন না। আর খোকন সেরনিয়াবাত যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর আপন ফুফাতো ভাই, নানা ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী যখন নিজেই তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তখন তাকে (খোকন সেরনিয়াবাত) নির্বাচিত করা হলে তিনি যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প জোর করে হলেও তার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) কাছ থেকে আনতে পারবেন। তাই নগরীর সর্বস্তরের ভোটারদের কাছে হিরন পতœী জেবুন্নেসা আফরোজ অনুরোধ করে বলেন, মৃত্যুর নয়বছর পরেও যারা আজো হিরণ সাহেবকে ভালবাসেন, যারা হিরণ সাহেবের মতো বরিশাল নগরীর উন্নয়ন দেখতে চান, তারা অবশ্যই এবারের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা নির্বাচিত হলে হিরণ সাহেবের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের পাশাপাশি ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে বরিশাল একটি তিলোত্তমা নগরী হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও নির্বাচন বিশ্লেষক মো. সোহেল রানা বলেন, সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতির মৌলিক যে স্ট্যান্ডার্ড সেটিকে গ্রহণের ক্ষেত্রে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। মেজোরিটারিয়ান ডেমোক্রেসির প্রক্রিয়ায় একজন নির্বাচিত প্রার্থীকে ওঠতে হয় সকলের প্রতিনিধি হয়ে। আমাদের রাজনীতিকগণ যতদিন না এই ইতিবাচকতা ধারণ করতে শিখবেন, ততদিন দেশের প্রকৃত মালিক জনগণের মুক্তি হবে না। মেয়র হিরণের মধ্যে এই ইতিবাচকতা চর্চার মনোভাব ছিলো। তিনি আরও বলেন, আধুনিক নগর সভ্যতায় যা যা প্রয়োজন সে সম্পর্কে হিরণের স্পষ্ট ধারণা ছিল।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত তার নির্বাচনী প্রচারণায় গত ১০ বছরে নগরীতে কোনো উন্নয়ন হয়নি, সে বিষয়টিকে মূখ্য হিসেবে বলে যাচ্ছেন। যার হিসেবটা স্পষ্ট করে তিনি বলছেন, শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর বরিশালে কোন উন্নয়নই হয়নি। তাই আমাকে (খোকন সেরনিয়াবাত) মেয়র নির্বাচিত করা হলে, আমি হিরণের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করে দিবো।
নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, বিগত দশবছরে নগরবাসী তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন চোখে দেখেনি। তবে এবার নৌকার মাঝি হয়ে যিনি এসেছেন তাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হলে উন্নয়নের রোল মডেল হবে বরিশাল এটা নিশ্চিত বলা যায়। নগরীর বর্ধিত এলাকাখ্যাত ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, এখন সাধারণ মানুষ সবকিছু বোঝে। শওকত হোসেন হিরণের পর কেন কি কারণে, গত দুই মেয়রের সময়ে উন্নয়ন হয়নি তা সবাই বোঝে। বর্ধিত এলাকার উন্নয়নে একমাত্র শওকত হোসেন হিরণ কাজ করে গেছেন। আর এখন আমরা শতভাগ আশাবাদী খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হলে তিনি নগরবাসীর ভাগ্নের উন্নয়ন ঘটাবেন। নগরীর রসুলপুর কলোনির বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, এখানকার মানুষের জীবনমান শওকত হোসেন হিরণের সময় যা ছিল তাই আছে। এ কারণে মানুষ এখনও হিরণেই আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দশবছর পর এবারের নির্বাচনে ভোটাররা খোকন সেরনিয়াবাতের মাঝে আরেক হিরণকে খুঁজে পেয়েছেন। তাই খোকনকে দিয়েই হিরণের অসমাপ্ত কাজ করাতে তারা একাট্টা হয়েছেন।
বরিশাল হবে শ্রমিক বান্ধব নগরী ॥ আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করা হলে আমি সবার কল্যাণেকাজ করবো। এখানে নাগরিকদের নানা মৌলিক চাহিদা রয়েছে, বর্তমান মেয়র তার কিছুই পূরণ করতে পারেনি। তাই প্রধানমন্ত্রী সেই অপূর্ণতা পূরণ করতে আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। নির্বাচিত হলে আমি অবহেলিত জনগোষ্ঠির জন্য কাজ করবো। আমি নির্বাচিত হলে শ্রমিক বান্ধব নগরী গড়ে তুলবো। এখানে আরো যাতে শিল্প কারখানা আসতে পারে তার প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরী করবো। নগরীর হাটখোলাস্থ এমইপি গ্রুপের কারখানা শ্রমিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে খোকন সেরনিয়াবাত এসব কথা বলেছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, এমইপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরেকবার সুযোগ দিন ॥ জেলা ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি অতীত ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের আরেকবার সুযোগ দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। বরিশাল ক্লাবের ক্যাফেটিরিয়ায় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময়কালে নানক আরও বলেন, কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আর টানাটানি না করে, আসুন আমরা খোকন সেরনিয়াবাতকে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী করতে পারি, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করি। কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, ১০ জুন বিকেলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি মিছিল করতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, হাতপাখার প্রার্থীকে কে কত টাকা দিয়েছে বা দেয়নি তা আমাদের আলোচ্য নয়। আমাদের প্রার্থী, আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত কীভাবে এই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন, সেদিক বিবেচনায় আমাদের সামনে এগুতো হবে।
নৌকার প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের হাত ধরেই গড়ে উঠবে তিলোত্তমা বরিশাল নগরী। নতুন বরিশাল গড়ে উঠার মধ্যদিয়ে নগরবাসীর ভাগ্য উন্নয়ন হবে। যার কারিগর হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন, তার সবচাইতে বেশি সুবিধাভোগী আমরা বরিশালবাসী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো এতোবড় একটি মেগা প্রজেক্ট সম্পন্ন হয়েছে। এখন দিনে চাইলে ঢাকা থেকে বরিশালে চারবার যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়ে বরিশালে পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাস খোকন সেরনিয়াবাত হবেন বরিশালের উন্নয়নের নতুন কারিগর। এজন্য নগরবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করতে হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগের সময় এসব কথা বলেছেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বরিশালের কৃতী সন্তান মো. মিজানুর রহমান মিজান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে ॥ জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কোন সামাজিক সংগঠনের কাছে কর্মসূচি করতে গেলে সেই সংগঠনকে নিষেধ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জনরোষ যদি তৈরি হয়ে যায় তাহলে রক্ষা নেই। নগরীর বাকলার মোড় এলাকায় গণসংযোগকালে তাপস আরও বলেন, তারা (সংগঠকরা) বলে সরকারি দলের চাঁপ আছে। আপনাকে ভোট দেবো কিন্তু কোন কর্মসূচি করতে পারবো না। জনগণের মূল্যবান সম্পদ ভোট, সেই ভোট কতকাল জোর করে নেবে? এটা কিসের আলামত? বরিশালে কি হচ্ছে? এই নির্বাচনে যদি কারচুপি করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা দেশের মানুষসহ বিশ্বের কাছে জানিয়ে দেবো।
ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা হবে ॥ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, নগরীকে আমরা সম্প্রীতির মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সম্প্রীতি পরিষদ’ গঠন করা হবে। রাজনৈতিক সহাবস্থান ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয় বরং সকল রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হবে। নগরীর বাজার রোড এলাকায় গণসংযোগকালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী এসব কথা বলেছেন।
চলছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ॥ আজ শনিবারের মধ্যে বরিশাল সিটি নির্বাচনে সকল কেন্দ্র ও কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন করা শেষ হবে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ক্যামেরা স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও নেছারবাদ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিন শরীফ বলেন, গত তিনদিন থেকে নগরীর ১২৬ টি কেন্দ্রে সিসি টিভি কামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। যা আজ শনিবারের মধ্যে শেষ করে রোববার ট্রায়াল দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ৮৯৪টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহন করা হবে। প্রতিটি কক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা থাকবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এবার সাতজন মেয়র, ১১৯ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার রয়েছে। প্রথমবারের মতো ইভিএম’র মাধ্যমে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহন করা হবে। এরআগে গত ২৯ মে বরিশালে দেড় হাজার ইভিএম মেশিন এসে পৌঁছেছে।