রাজশাহীর বাঘায় বাঁশ কাটতে নিষেধ করায় মা ও কলেজ পড়-য়া মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার মনিগ্রাম মাদ্রাসা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পর থেকে মা-মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আবদুল জলিলের বাড়ি পাশে হেলে একটি বাঁশ প্রতিবেশি আবদুল খালেকের জমির সিমানায় গেছে। এই বাঁশ বুধবার (৭ জুন) বিকালে আবদুল খালেকের ছেলে সিয়াম হোসেন কাটতে যায়। এ সময় বাঁশ কাটতে নিষেধ করেন আবদুল জলিলের স্ত্রী কবিতা সরকার ও তার অনার্স পড়-য়া মেয়ে জুঁই সরকার। তাদের নিষেধ অমান্য করে বাঁশ কাটেন। বিষয়টি নিয়ে জুঁই সরকার তার দাদার কাছে নালিশ করে। এতে সিয়াম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে অনার্স পড়-য়া মেয়ে জুঁই সরকারকে ও তার মা পারভীন বেগমকে হাসুয়ার উল্টো পিঠ দিয়ে ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করা হয়েছে। এতে তারা আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুল জলিলের স্ত্রী কবিতা সরকার বলেন, আমার জমির বাঁশ কাটে নিষেধ করায় নির্যাতন করা হয়েছে। এ ছাড়া কারণে অকারনে তারা অত্যাচার করে। এতে প্রতিবাদ করলে নির্যাতন করে। এ বিষয়ে সিয়াম হোসেন বলেন, একটি হেলে পড়া বাঁশ আমার জমির উপর আসায় কাটা হয়েছে। এরপর থেকে মা মেয়ে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলতে শুরু করে। এতে রাগ সহ্য করতে না পেরে একটি ধাক্কা দিয়েছি। তাদের কোন মারপিট বা নির্যাতন করা হয়নি। বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য সমাজ প্রধান সইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মিমাংসা না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।