নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক অন্তঃসত্ত্বা মাকে চিকিৎসা না দিয়ে শারিরিক প্রহার করার অভিযোগ উঠেছে ডাঃ জয়া দেবর্ষি এর বিরুদ্ধে। ৯জুন শুক্রবার রাতে সরকারী হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত জয়া ক্লিনিকে এক প্রসূতি মা'কে সিজারের জন্য নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। সকালে আসার কথা ছিলো, টাকা জোগার করে আসতে আসতে রাত হয়ে গেছে আর এটাই কাল হলো তার জন্য। রাগে, ক্ষোভে রোগীকে ফোনে নিষেধ করে দিয়েছেন ডাঃ জয়া দেবর্ষি। বারবার আকুতি করেও কোন ফল হয়নি অবশেষে রোগীর লোকজন স্থানীয় সংবাদিকদের দ্বারস্থ হলে জয়া ক্লিনিকে সাংবাদিকগণ যান। এই খবর শুনার পরে ডাঃ জয়া আরো ফুসে উঠেন এবং পরবর্তীতে রাত দেড়টার পর এসে রাগে রোগীকে চড় থাপ্পর মারেন এবং তিনি চিকিৎসা করতে পারবেন না বলে ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। এই অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম রোকসানা আক্তার। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লেংগুড়া গ্রামের গোলাপ হোসেন স্ত্রী। এ বিষয়ে স্বজনরা জানান, প্রথম থেকেই এই ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে। কয়েক বার আলট্রা করার পর সিজারের জন্য ১০ তারিখ নির্ধারিত করেন ঐ ডাক্তার। আমাদের মোবাইল করে বলেন ১০ তারিখ সকালে নিয়ে আসার জন্য কিন্তু টাকা জোগাড় করতে দেরী হওয়ায় তাদের কথা মতো নিয়ে আসতে পারিনি। পরে রাত ১০টার দিকে নিয়ে এসেছি বলে তারা সিজার করবে না। ডাক্তার বাসায় চলে গেছেন। এভাবেই ৪ ঘন্টা তারা ক্লিনিকে সময় নষ্ট করেছেন। তাদের হাতে পায়ে ধরেছি তারপরও তারা সিজার করবে না বলে জানায়। নিরুপায় হয়ে সংবাদকর্মীদের জানালে তারা উপস্থিত হলে ডাক্তার রাত ২টার দিকে এসেছেন তবে এত রাতে আসতে হয়েছে বলে রাগে ক্ষোভে অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা এই মা'কে চর থাপ্পর মারেন। এই মা'কে বাঁচাতে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স করে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে ঐ ডাক্তার জয়া দেবর্ষি এর মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সজীব রায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি খুবই দুঃখজনক। তবে এই ক্লিনিকের লাইসেন্স আছে কিনা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। একজন ডাক্তার এইরকম কাজ করতে পারেন না। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেব। তাছাড়া ঐ ডাক্তারের স্বামী স্বপন হাজং সাংবাদিকদের প্রতি চড়াও হয়,যতদুর জানাগেছে ঐ ডাক্তার মানষিক বিকারগ্রস্ত।