খুলনার পাইকগাছায় গড়ইখালীর খুদখালী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ভেঙ্গে যে কোনো মূহুর্তে দুই উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিকল্প প্রতিরক্ষা ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি প্রতিরক্ষা ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। উল্লেখ্য, উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালীর খুদখালী এলাকায় ওয়াপদার বেড়ি বাঁধে কয়েক দশক আগে ভাঙ্গন দেখা দেয়। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিবছর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। যে কোনো দুর্যোগ কিংবা ভরা পূর্ণিমার সময়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকে অত্র এলাকার মানুষ। ইতোমধ্যে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রাথমিক কাজ শুরু করলেও ভাঙ্গনে চরম ঝুঁকি দেখা দিয়েছে খুদখালী এলাকার মিজানের বাড়ি হতে সিরাজুলের বাড়ি পর্যন্ত ১৭৫ মিটার ওয়াপদার বেড়ি বাঁধ। পুরাতন বেড়ি বাঁধের বেশির ভাগ অংশ ইতোমধ্যে ভাঙ্গনে শিবসা নদীতে ভেসে গেছে। ফলে গনের সময় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোনো মূহুর্তে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে ভেঙ্গে পোল্ডার অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আবদুস সালাম কেরু জানান, ভরা আমাবস্যা-পূর্ণিমা আসলেই নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ভেঙ্গে গেলে উপজেলার গড়ইখালী, চাঁদখালী, লস্কর এবং কয়রা উপজেলার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিকল্প প্রতিরক্ষা ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আররাদ করপোরেশন এর সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের তদারকিতে স্কেভেটর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে শনিবার সকাল থেকে বিকল্প প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ওয়াপদার নীচে সরকারি খাস জমিতে বসবাসরত অনেকেই নির্মাণ কাজে বাঁধা দিচ্ছেন বলে এ জনপ্রতিনিধি জানান।