ঢাকাণ্ড১৭ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু তার সে আশায় গুড়ে বালি! আর এ কারণে মন খারাপ অভিনেতা সিদ্দিকের। আর মন ভাল করতে সিদ্দিক ঘুরতে গেলেন দুবাই! বীর মুক্তিযোদ্ধা, চিত্রনায়ক ও ঢাকাণ্ড১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়া আসনে আগামী ১৭ জুলাই উপনির্বাচন হচ্ছে। সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে সিদ্দিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানায়, মনোনয়ন দেয়া হয় মোহাম্মদ এ আরাফাতকে। দলের সিদ্ধান্ত পক্ষে না আসায় কিছুটা মন খারাপ সিদ্দিকের। মন ভাল করতে তিনি উড়ে গেলেন দুবাই। সেখানে এই অভিনেতা ঘুরছেন বিভিন্ন শপিংমলে। তিনি মনে করেন, সাময়িক মন খারাপ হলে ঘুরতে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এক ভিডিও বার্তায় সিদ্দিক বলেন,“আমাকে মানননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকাণ্ড১৭ আসনের জন্য সিলেকশন করেনি। সেই কারণে একটু মন খারাপ। মানুষের মন খারাপ হলে কী করে? বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। তাই আমিও ঘুরতে দুবাই এসেছি এবং কেনাকাটা করছি। অনেকেরই মন খারাপ হলে ঘুরে বেড়ালে বা কেনাকাটা করলে মন ভালো হয়। আমারও তাই।” দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন বলেও ভিডিও বার্তায় জানান সিদ্দিক। এমনকি মনোনয়ন প্রত্যাশী বাকি সদস্যদেরও এ সময় নৌকার স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান এই অভিনেতা। নিজেকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক’ হিসেবে তুলে ধরে সিদ্দিক ভিডিও বার্তায় বলেন,‘ঢাকাণ্ড১৭ আসন থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, আমি সত্যিকার অর্থে ওই মানুষটির পক্ষে কাজ করব, নৌকার হয়ে কাজ করব। কারণ আমি নৌকার বাইরের মানুষ নই। আমি ছাড়াও যে ২১ জন নৌকার মাঝি হতে নমিনেশন পেপার তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে আমার বাবা সমতুল্য মানুষও ছিলেন, তাদের সবাইকে আমি একটা কথা বলতে চাই দিনশেষে কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই। সেজন্য আমি বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নয়নের মার্কা নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করি।’ ভিডিও বার্তাটি নিজের ফেসবুকেও শেয়ার করেন সিদ্দিক। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেন,“জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, দিন শেষে আমরা নৌকার মানুষ এটা ভুলে গেলে চলবে না। আসুন সবাই মিলে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে উন্নয়নের মার্কার পক্ষে কাজ করি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে পূরণ করি। আমি সবসময়ই উন্নয়নের মার্কা জয়ের পথে কাজ করতে চাই, কারণ আমি নিজেকে গুনটানা আওয়ামী লীগ বলে দাবি করি। তাই আমার মত আরো ২০ জনকে বলবো দিন শেষে আমরা একই পরিবারের সদস্য এটা ভুলে গেলে চলবে না।’