রাজশাহীর তানোরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মটরসাইকেল রোধ করে আটকি মিজানুর রহমান নামের এক যুবককে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মিজানুর রহমান মালশিরা গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের পুত্র। রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) মালশিরা বাগমারা পাড়া নামক মোড়ে ঘটে এঘটনা। এ ঘটনায় আহত মিজানুর রহমান বাদি হয়ে তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের ছইমুদ্দিন ও তার ছেলে শাওনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্ত্বে ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মিজানুর নিজ বাড়ি মালশিরা থেকে মোটরসাইকেল যোগে চৌবাড়িয়া বাজারে যাচ্ছিলো। এ সময় বাগমারা পাড়া নামক মোড়ে আসা মাত্রই মিজানুরের মটরসাইকেল আটকিয়ে একই গ্রামের ছইমুদ্দিন ও তার ছেলে শাওন অতর্কিত ভাবে হামলা করে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সাথে সাথে মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুর হয়। খবর পেয়ে পরিবার ও সহপাঠীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত মিজানুর রহমান বলেন আমি বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে মোড়ে আসামাত্রই পথরোধ করে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। মাথা ফেটে গেছে এবং ছয়টি সেলাই লেগেছে। এ বিষয়ে ছইমুদ্দিন ও তার ছেলে শাওন বলেন, ওয়াকাফ সম্পত্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মেম্বারের ভোট করিনি এজন্য আমাকে ইয়াবা সেবী বলছে। সে তো ওয়াকফার যাবতীয় টাকা লুটে খাচ্ছেন। আমাদের ফাঁসাতে মেম্বার মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মালশিরা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, এর আগেও মিজানকে মেরেছিল, শাওন প্রতি মুহুর্ত্বে ইয়াবা সেবন করে থাকেন। সকালে ইয়াবার ঘোরেই মাথা ফাটিয়েছে বলেও জানান তিনি। তানোর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ থানার তদন্ত ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।