সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী চিরকুট লিখে প্রাণ ঘাতি গ্যাস ট্যবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত ১০ জুন শনিবার বাঐখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সজিমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের আবদুল মালেক শেখ মেয়ে জাহানারা খাতুন (১৩) ডুমরাই দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। মৃত শিক্ষার্থী জাহানারা খাতুনের মরদেহ সোমাবার ১২ জুন সকালে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। জাহানারা খাতুনের চিরকুটে লেখা সূত্রে জানাযায়, আত্মহত্যার পূর্বে সে তার মাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, মা শোন, আমার মৃত্যুর জন্য মুসার ছেলে ফরিদুল কাকা দায়ি। একই এলাকার আবু মুসার ছেলে ফরিদুল ইমলাম (২৫)। ফরিদুল জাহানারাকে অনৈতিক কর্মকা-ের প্রস্তাব দিলে সে তার কুপ্রস্তাবে রাজী না হয়ে কথা তার প্রেমিক হুজাইফাকে বলে। সে তার প্রেমিককে আবদার করে বলে একটা গ্যাস ট্যাবলয়েট নিয়ে এসে দিবেন। প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাত ১১ টায় দুইটা গ্যাস ট্যবলয়েট নিয়ে দেখা করে প্রেমিক হুজাইফা। তারা দুজনেই এই বিষাক্ত ট্যাবলয়েট খাবে বলে জানান প্রেমিক হুজাইফা। হুজাইফাকে না খাওয়ার শর্ত দিয়ে রাতে বাড়িতে গিয়েই বিষাক্ত এই ট্যাবলয়েট খান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জাহানারা। চিরকুটে তার প্রেমিককে নির্দোষ লিখে তার মৃত্যুর জন্য দায়ি করে গেছেন সম্পর্কে তার চাচা ফরিদুল কে। এ ঘটনায় তার চাচি সাবিনা বেগম জানান, ফরিদুলের কারণেই আমার ভাতিজির মৃত্যু হলো। আমরা এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। আবেগাপ্লুত হয়ে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর দাদা সোলেমান আলী জানান, আমার নাতিন যার জন্য মারা গেছে তার কঠিন বিচার চাই। এ বিষয়ে চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তির কঠিন শাস্তির দাবি কামনা করছি। রায়গঞ্জ থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আত্মহত্যা করা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সুরতহাল বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে করা হয়েছে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমাদের থানায় আপাদত কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।