জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের বাঘাডোবা এলাকার আড়াইলের নামাবন্দ এলাকার আবাদি জমির টপ সয়েল ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে। এক শ্রেণির মাটি খেকুর সিন্ডিকেট অবাধে কৃষি জমির মাটি মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। এই টপসয়েল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও; কোন প্রতিকার নেই।
জানা গেছে, যমুনার নদীর শাখা মাদারদহ, দাঁভাঙ্গা থেকে আগত লৌহজং প্রশাখা মরে যাবার পর বেশ ক’টি বিল নিদর্শন রেখে যায়। এই বিল-ঝিলগুলোতে এখন প্রচুর কৃষি আবাদ শোভা পাঁচ্ছে। বিশেষ করে বোরো আবাদের পাশা পাশি সরিষা, কালাই, রোপা আমনসহ নানা ধরণের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে কৃষি ফসল উৎপাদনের বৃহৎ বিস্তীর্ণ ভূমির একটি হচ্ছে এই এলাকা। মিথ্যা তথ্য ও তথ্য গোপন করে এই বিলের বৃহৎ অংশের খাস জমিগুলোও পত্তন নিয়েছে প্রভাবশালী মহল। পত্তন নেয়া জমিগুলো থেকেই ৮/১০ ফুট গভীর থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে গভীরভাবে ক্রমাগত মাটি উত্তোলন করতে থাকলে অল্পদিনেই স্থায়ী জলাবদ্ধতার রূপ নিবে। হারিয়ে যাবে সমতল ভূমি। ভেস্তে যাবে কৃষি উৎপাদন।
কৃষিজমি সুরক্ষা আইনে আবাদি জমি বিল-ঝিল-নদী এমনকি রেলের জমির শ্রেণির পরিবতর্ন করে ইটভাটা বা শিল্প কারখানা স্থাপনের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা আছে। এই আইনের বাস্তব প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।
কৃষিজমি সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, লোকাল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই কৃষি অধিদপ্তর পদক্ষেপ নিতে পারবে।
আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা জানান-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সভায় টপসয়েল রক্ষার গুরুত্বারোপ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। দুই মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এর বেশি বলতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা জানান-অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপর আবারো মাটি খনন করার কথা আমাকে কেও অবহিত করেননি। বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিব।