কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি বোরো ধানের একবার চারা লাগিয়ে দু’বার ধান পেয়েছে কৃষক। প্রথম পর্যায়ে ধান পাকা কর্তন করে রেখে দেয়া হয় ধান গাছের নিচের অংশ। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে একই জমিতে পূর্বের অবশিষ্ট অংশে ধানের শিষ বের হতে থাকে। এ অবস্থা দেখে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন চাষিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর এলাকার পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামে।
সরেজমিনে পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আ. সাহেদ শ্রমিক নিয়ে ধানক্ষেত কর্তন করছেন। তিনি সাড়ে চার বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চারা রোপণ করেন এবং গত মে মাসের শুরুতে প্রথম পর্যায়ে ফসল কর্তন করে ঘরে তোলেন। এর ৮/১০দিনের মধ্যে জমিতে ধানের নাড়া (শিকড়সহ বাকি অংশ) থেকে পুনরায় নতুন গাছ গজিয়ে ধান ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে যায়। ওই কৃষকদের ধানের নাড়াগুলো নষ্ট না করে রেটুন পদ্ধতিতে সামান্য ইউরিয়া ও টিএসপি সার ছিটিয়ে নতুন গজিয়ে উঠা ধান গাছের পরিচর্যা করার পরামর্শ প্রদান করেন স্থানীয় কৃষি অফিস। এতে নতুন করে ধানের শীষ বেড়িয়ে একপর্যায়ে তা পরিপক্ক হয়।
পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামের কৃষক আ. সাহেদ জানান, আমার এলাকার কৃষক মেনু মিয়ার জমিতেও এরূপ ধান উৎপাদন হয়েছিল। তাই আমিও এ বছর এ পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করি। পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামে কৃষক মেনু মিয়া জানান, ধান উৎপাদনে তেমন খরচ লাগে না। গত বছর আমার দুই একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করে ভালো ফলন পেয়েছি।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ. কে.এম শাহজাহান কবির বলেন, এটি একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একবার ধান বীজ রোপণ করেই দু’বার ফসল উৎপাদন করা যায়।