চলতি বছর লবণ মৌসুমে দেশে উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন, যা বিগত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশে এখন লবণের মজুত রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার টন। কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রয়োজন হবে ১ লাখ টন। ফলে এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানিকরা পশুর চামড়া স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)। মঙ্গলবার আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিকরা পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বিসিক কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন শীর্ষক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বিসিকের বোর্ডরুমে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জানানো হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী গত পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি লাখ। সে হিসেবে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৭ হাজার ৬৮০ টন। এ বছর সর্বোচ্চ ১ লাখ টন লবণের চাহিদা থাকবে। মাঠ পর্যায় থেকে কোরবানিযোগ্য প্রাণির সংখ্যার প্রকৃত তথ্য পাওয়া গেলে প্রকৃত লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বিসিককে কোরবানিযোগ্য প্রাণির সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে। এ সময় বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা পাবে। সভায় চালু লবণ মিলের তালিকা ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো এবং হালনাগাদকরা ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণকারীদের কাছে সরবরাহ করার জন্য বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিসিক আঞ্চলিক এবং জেলা কার্যালয়সমূহে কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও লবণ সরবরাহ নিশ্চিত মনিটরিং টিম গঠন, জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে লবণ ও চামড়া সংক্রান্ত সভা আয়োজন, চামড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার প্রচারণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।