পিরোজপুরের কাউখালীতে চুরির হিড়িক। উপজেল প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সহ গত দুই দিনে পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত্রে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মোটরসাইকেলটি নিচ থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগম জানান, এত সিসি ক্যামেরা থাকার পরও উপজেলা পরিষদ থেকে গাড়ি চুরি হবে তা আমি কল্পনা করতে পারছি না। আমার অফিস সহকারী সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার(১৫ জুন) কাউখালী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন।
এছাড়া গত বুধবার কাউখালী শহরে দিনের বেলায় চারটি বাড়িতে দুর্র্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের দক্ষিণ বাজারের মুদির দোকানদার ফরিদুজ্জামানের বিল্ডিং এর তালা ভেঙ্গে চুরি হয়। এ সময় তার ঘর থেকে নগদ প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। একই দিন সকালে মানিক মিয়া কিন্টারগার্টেন সংলগ্ন প্রবাসী জিয়াউর রহমান রতনের ভাড়াটিয়া বিল্ডিং এ তিনটি ফ্লাটে চুরি সংগঠিত হয়েছে। ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙ্গে নগদ ৪০ হাজার টাকা, পাশের ফ্ল্যাটের শিক্ষিকা আসমা বেগমের ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ বিশ হাজার টাকা ও রিপন আর্মির ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।
এর কিছুদিন আগে কাউখালী সদরে দিনের বেলায় কামরুল স্টোরের বাসা সহ বিভিন্ন বাসায় চুরি সংগঠিত হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা শহরে দিনের বেলায়ও বাসা বাড়ির মানুষ আতঙ্কে থাকে চোরের ভয়ে। জরুরী কাজেও তালা দিয়ে বাসা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকারিয়া জানান, চোর চক্রকে ধরার জন্য অভিযান চলছে। সিসি ক্যামেরা দেখে চোর সনাক্ত করতে সক্ষম হবো।