মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, হাওর অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। হাওরে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করতে না পারলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হব। তিনি হাওর অঞ্চলে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন, ১০০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। আমরা ৩২ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আজ শ্রীমঙ্গলে ‘হাওর অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শ্রীমঙ্গলের পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এ- গলফের রুশনি মহলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ এমপি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবদুল জলিল।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্ট মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অলক কুমার সাহা।
কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারবৃন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রমুখ।