কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাটি ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে অবস্থিত। এ উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলার একমাত্র খাদ্য গুদামের দুটি গোডাউন এর নদীর পাশের সীমানা প্রাচীরটি যেকোনো সময় রাস্তাসহ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ গোডাউনটি দামপাড়া ইউনিয়নের অবস্থিত। গোডাউনের ভিতরের ও বাহিরের সীমানা প্রাচীরটিও ভেঙ্গে গেছে। ভিতরের রাস্তাগুলো বর্ষার সময় কর্দমাক্ত অবস্থায় থাকতে গিয়ে ধান ও চাউল আনা-নেওয়ার ট্রাক ও লড়িগুলি প্রায় সবই ধেবে যায়। এ ছাড়া খাদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষটির ভিতরের উপরের ছাঁদ বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য গোদামের কয়েকজন শ্রমিক জানান, খাদ্য গোডাউনের প্রাচীর ও রাস্তার অবস্থা বেহাল থাকার কারণে তাদের মাল উঠানামা করতে গিয়ে অনেক সময় কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। নিকলী উপজেলা খাদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এ প্রতিবেদককে বলেন, উপরেরর ভিতরের ছাঁদ বিশাল ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তিনি বলেন, অফিস চলাকালীন সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাকিলা পারভীনকে বার বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।