ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বলরামপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় দিনে দুপুরে একটি ইজিবাইক ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম এর ছেলে ইজিবাইক চালক মমিনুর কালীগঞ্জ থেকে একজন যাত্রি নিয়ে কোলাবাজার যাচ্ছিল। পথিমধ্যে একটি সাদা প্রাইভেট কারে থাকা একদল ছিনতাইকারী বারপাকিয়া মাঠের মধ্যে তাকে গতিরোধ করে। ঘটনাটি বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে। এ সময় প্রাইভেট থেকে ৪ জন নেমে তাকে ভয়ভীতী দেখিয়ে জোরপূর্বক ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে নিজেদের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে ঝিনাইদহের দিকে চলে যাই। এর মধ্যে গাড়ি থেতে নামা ৪ জনের ১ জন থেকে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তীতে ছিনতাইকারী দলের সদস্য ঐ ব্যক্তি ইজিবাইকটি চালিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সাদা রঙের প্রাইভেট কারটি ঝিনাইদহ বাইপাস রোডে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়ি থেকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনায় রাতেই মমিনুর কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে মমিনুর কোনো রকমে প্রানে রক্ষা পেলেও জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।গত ১১ এপ্রিল ধার দেনা ও এনজিও থেকে লোন করে ঝিনাইদহ থেকে মমিনুরের পিতা ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ইজিবাইকটি তাকে কিনে দিয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টাকায় এনজিও এবং বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে ঋণ করে নিয়েছিল।
ইজিবাইক চালক মমিনুর জানাই, কালীগঞ্জ মধুগঞ্জ বাজার ১০ তালা ভবনের সামনে থেকে ১ জন যাত্রি নিয়ে কোলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করে বারপাখিয়া মাঠ পার হতে না হতেই ছিনতাইকারীরা ইজিবাইকটা ছিনতাই করে নেয়। এক নারী জানান, দুপুরের সময় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয়ে এক ইজিবাইক চালককে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন। ছিনতায়ের ঘটনা বুঝতে না পারায় তিনি তখন অতটা গুরুত্ব দেয়নি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান মিনে জানান, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।