ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ ইউনিটটিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৭ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষার্থীরা রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, গভর্নমেন্ট কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (সাবেক হোম ইকনোমিক্স কলেজ), আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চবিদ্যালয় এবং নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয়। ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে উপাঁচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এটি খুব ভালো দিক। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগের প্রশংসা করেন ঢাবির উপাঁচার্য। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অধিভুক্তির পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। শুরুতে নানা ধরনের হোঁচট খেতে হয়েছিল। এখন আনন্দের বিষয় হলো, একটি পরিবর্তন আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেখতে পাঁচ্ছি। বিষয়টির সাথে সাত কলেজের শিক্ষক ও দায়িত্বশীলরাও একমত। উপাঁচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারা সময়মতো পরীক্ষা দিতে চায়। এটি খুবই ইতিবাচক দিক। আমরা ইতোমধ্যেই কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট আছে, শিক্ষক সঙ্কট আছে। ল্যাবরেটরি সঙ্কটও প্রকট। সব মিলিয়ে মানোন্নয়নসহ সমস্যা সমাধানে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরেজমিনে ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা যেন ঘড়ি, ব্যাগ, মোবাইল বা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারেন সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ঢাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাত কলেজের তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবছর আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২৯টি। এরমধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৮ হাজার ৪৯৫ জন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩৭ হাজার ২৮২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৫ হাজার ২৫২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের মাধ্যমে মানবিক শাখার ছাত্রছাত্রীরা নিম্নলিখিত ২০টি বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করে পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনে ভর্তি হতে পারবেন। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো- বাংলা, দর্শন, ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আরবি, ইতিহাস এবং ইসলামিক স্টাডিজ, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান এবং সমাজকর্ম।