এক সময়ে পাবনার সুজানগরের কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। ওই সময় উপজেলার মাঠে মাঠে কেবল পাট আর পাট শোভা পেতো। কিন্তু মাঝে পাট শিল্পের প্রতি উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে বছরের পর বছর পাটের বাজারে ধস নামে। এতে উপজেলার কৃষকরা পাট আবাদে নিরুৎসাহী হয়ে পড়েন। কিন্তু বর্তমানে সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরে আশায় সর্বস্তরের কৃষক আবার পাট আবাদে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮হাজার ৫‘শ ১০হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে ৮হাজার ৫‘শ ৫০হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ হয়েছে ৪০হেক্টর বেশি জমিতে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পাট চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন এ বছর অনুকূল আবহাওয়া আর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে সঠিক সময়ে সার-বিষ দেওয়ার কারণে উপজেলার সর্বত্র পাট ভাল হয়েছে। আশা করছি প্রতি বিঘা জমিতে ৯ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হবে। স্থানীয় হাট-বাজারে পাটের বাজারও বেশ ভাল। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের পাটচাষী রইচ উদ্দিন বলেন প্রতিবিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে সার,বীজ এবং শ্রমিকসহ খরচ হয় ১৫/১৬ হাজার টাকা। বর্তমানে উপজেলার হাট-বাজারে প্রতিমণ পুরাতন পাট বিক্রি হচ্ছে ২৬/২৭‘শ টাকা দরে। এ হিসাবে এক বিঘা জমির পাট বিক্রি করে কৃষকের আয় হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে বর্তমানে কৃষকরা পাট আবাদে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন আর ১৫/২০দিন পরে হাট-বাজারে মৌসুমী নতুন পাট উঠবে। বর্তমান বাজার স্থায়ী হলে কৃষক বেশ লাভবান হবে।