ভৈরবের জোয়ানশাহী হাওরে শত বছরের কৃষকদের দাবী পূরন হতে চলেছে। নির্মান হচ্ছে হাওরের ওরার খালে একটি পাকা স্থায়ী সুইজ গেইট। প্রতিবছর উজানের পানি ও আগাম বন্যার কারণে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি জোয়ানশাহী হাওরে ৫হাজার হেক্টর জমির ২১হাজার মেট্রিকটন পাঁকা ধান তলিয়ে যেত এবং সোনালী ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভূগত কৃষকরা প্রতিবছর। এবার জোয়ানশাহী হাওরে ওরার খালে নির্মান হচ্ছে একটি স্থায়ী সুইজ গেইট। এই সুইজ গেইট নির্মানের ফলে রক্ষা পাবে ৫হাজার হেক্টর জমির ২১হাজার মেট্রিকটন পাকা ধান।
জানায়ায়,ভৈরবের শ্রীনগর, আগানগর ও সাদেকপুর এ ৩টি ইউনিয়নের ৫ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃর্ণ বিশাল এ হাওর অঞ্চল। এ হাওর খাদ্য শষ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এই হাওরে একটি ফসল ইরি-বোরো আবাদ করাহয়। বিশেষ করে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে অন্য যে কোন হাওর থেকে এই অঞ্চলে একর প্রতি ধানের আবাদ অনেক বেশি ও ফলন ভাল হয়। কিন্তুু বেশির ভাগ সময় কৃষকরা তাদের আবাদকৃত ধানের ৭৫ শতাংশই গোলায় তুলতে পারে না। প্রতি বছরই বৈশাখ মাসে আবাদ কৃত ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় থাকেন এ হাওরের কয়েক হাজার কৃষক। একমাএ বোরো ফসলের উপর অনেক কৃষকের আয় ও সংসার নির্ভর।
আবার কার্তিক মাসে হাওরে জমিতে অনেক সময় পানি নদীতে নেমে যায় এবং পনির অভাবে ধান রোপন করতে পারে না আবার ধান যখন পাঁকতে শুরু করে বৈশাখ মাসে কৃর্ষকদের দ:শ্চিন্ত বাড়তে থাকে। কারণ ওরার খাল দিয়ে হওরে প্রবেশ করে পানি, ভাসিয়ে নিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন একমাএ বোরো ধান। যুগযুগ ধরে কৃষকরা নিজ উদ্যেগে ওরার খালে মাটি দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে আসচে। অনেক সময় পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে যেত।
সর্বশেষ গত কয়েক বছর ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাটির বাঁধ দিয়ে আসলেও তা পানির তরে ভেঙ্গে যেত। তবে স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ২কোটি ৬৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিমার্ণ হয়েছে স্থায়ী সুইজ গেইট। গত বছর ১লা জুলাই থেকে চলতি বছর ৩০শে জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। পকল্পের ৯৫ভাগ কাজ শেষ।
জাফরনগরের কৃষক মো: মজনু মিয়া বলেন,সুইজ গেইটের মাধ্যমে শত বছরের কৃষকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় জোয়ান শাহীর কৃষকরা অনেক খুশি।
বধুনগরের জাহের মেম্বার বলেন,এখন থেকে নি:চিন্তে পাকাঁ ধান ঘরে তুলতে পারবো আমাদের স্বপ্নের পাঁকা ধান।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,অসময়ে উজানের পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে সোনালী ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় সব সময় শঙ্কিত থাকতে হত কৃষকদের। আগাম বন্যা থেকে জোয়ানশাহী হাওরে প্রায় ৩কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্থায়ী গেইট র্নিমান হয়েছে যা উজানের পানি ও আগাম বন্যা থেকে রক্ষা পাবে আবার জমি রোপনের সময় পানি ধরে রাখার জন্য বেশ উপকার বয়ে আনবে পাশাপাশি সুইচ গেইটের সাথে একাট বাঁধ রয়েছে যা হাওরবাসীর বেশ উপকারে আসবে।