দুমুখো চুলের কারণে স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে চুল। ডগা ফেটে যাওয়ার কারণে নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুল ভেঙে যাওয়া ও ঝরে পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে ঘরোয়া যতেœর বিকল্প নেই। জেনে নিন টিপস।
একটি পাকা কলা চটকে ২ টেবিল চামচ টক দই মেশান। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে চুলের আগায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
ডিমে রয়েছে প্রোটিন যা চুলে পুষ্টি জোগায়। ডিম ফেটিয়ে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আগা ফাটা কমে যাবে। পাশাপাশি চুল হবে উজ্জ্বল।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ই অয়েল রয়েছে আমন্ড অয়েলে। আমন্ড তেল চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
কয়েক টুকরা পাকা পেঁপে ও পাকা কলা একসঙ্গে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ভিটামিন-ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে চুলের আগায় লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল কিছুক্ষণ চুলের আগায় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের আগায় ৩০ মিনির লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
অলিভ অয়েল ও দই মিশিয়ে তৈরি নতুন হেয়ার প্যাক। প্যাকটি চুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। আগা ফাটা রোধ করার চমৎকার প্যাক এটি।
নারিকেল তেল কুসুম গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন। গরম তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে নিন চুল। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভঙ্গুর চুলের জন্য খুবই কার্যকর এই পদ্ধতি।
চুলে স্টাইল করার জন্য তাপপ্রদানকারী যন্ত্র ব্যবহার করবেন না। চুলে কেমিক্যালযুক্ত রঙ ব্যবহারের কারণেও ফাটতে পারে আগা।
ভেজা চুল ঝাড়বেন না কিংবা আঁচড়াবেন না।
নির্দিষ্ট সময় পর পর চুলের আগা কিছুটা কেটে নিন।