বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ, কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে, কৃষিতে আমরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছি। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য কৃষি ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক ভূর্ত্তকি দিচ্ছেন। সম্প্রতিক অগ্নিকা- ও প্রাকৃতিক দুযোর্গে আমাদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের পাশে দাড়াতে। আমরা চাই আমাদের এলাকার শিক্ষিত সন্তানরা দেশে-বিদেশে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটাক। আমি বিদেশ গেলে পীরগাছার ছেলে-মেয়েরা যখন দেখা করে ভালো কোম্পানীতে চাকুরী ও ভালো ব্যবসার কথা বলেন, তখন গর্বেবোধ হয়। এই সরকারের আমলে পীরগাছা-কাউনিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা সেসব উন্নয়নের চিত্র এলাকায় তুলে ধরেন। শনিবার রংপুরের পীরগাছায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বানিজ্যমন্ত্রী।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পীরগাছা উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় ও অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দু:স্থ্য ব্যক্তিদের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাজমুল হক সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল আজিজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭০ বান্ডিল ঢেউটিন, ২ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক এবং ২৮টি পরিবারের মাঝে ২৮ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৮৪ হাজার টাকার চেক বিতরন করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলার কৃষি অফিসের আওতায় এক হাজার ৬শ জন উপকারভোগী কৃষকদেও মাঝে সার ও বীজ প্রদানের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলায় থাকা ১৫ স্টল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের দামুর চাকলা বাজার সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজ পরিদর্শনে যান।