শার্শার ডিহি ইউনিয়নের শালকোনা গ্রামে সাজিদুল সরদার (৩৮) নামে এক যুবককে প্রতিপক্ষরা দেশি অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরপরই সাজিদুল সরদারের বাড়ির পাশে মাদক মামলার আসামি তরিকুল ইসলাম তোতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় সাজিদুলকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, একই গ্রামের সন্তোষ দফাদার তাদের জমি মাটি দিয়ে উঁচু করার সময় সাজিদুল সরদারের জমির বেশ কিছু অংশে মাটি দেয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সাজিদুল সরদার তার জমির অংশ থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় সন্তোষ দফাদার। তিনি সাজিদুলকে মারতে তার পক্ষের মাদক মামলার আসামি তরিকুল ইসলাম তোতাকে ডেকে নেয়। এ সময় তোতার নেতৃত্বে তার ছেলে নাহিদ, ভাই তফিকুল ইসলাম কাকু, বিপ্লব, সন্তোষসহ আরো কয়েকজন সাজিদুলকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আশপাশের লোকজন এসে সাজিদুলকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুর রশিদ জানান, সাজিদুলের সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। হাতের আঙুল ভেঙ্গে গেছে। পিঠের হাড়ও ভেঙ্গে যেতে পারে। পাঁচটি এক্সরে করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখে বিস্তারিত বলা যাবে।
শার্শা উপজেলার ওসি আকিকুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, তরিকুল ইসলাম তোতার নেতৃত্বে প্রায়ই প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। গত ইউপি নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তিন সমর্থককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তোতা। শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান এ নিয়ে নামেমাত্র সালিশ মীমাংসা করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। এ ছাড়া ২০২০ সালের ৭ জুলাই শালকোনা গ্রাম থেকে ৩৯২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে বিজিবি। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় বিজিবি তোতার নামে মামলা করে।