ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
নগরকান্দা থানার এস আই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে নগরকান্দা থানা পুলিশের একটি টিম এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান ভাতা গ্রহিতার ফরম, ১৩টি মোবাইল ফোন ও মাদক সেবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪৮) এবং তার দুই সন্তান আছিব ও তৈহিদকে থানায় আনা হয়েছে।
জানা গেছে, নগরকান্দা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত সরকারি বিভিন্ন ধরনের ভাতা আত্মসাৎ করতে, প্রকৃত সুবিধাভোগিদের মোবাইল নম্বর গোপনে বাতিল করে, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার বাসায় একাধিক মোবাইল ফোন ও সীম নম্বর ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করে থাকেন।
নগরকান্দা উপজেলার মাঠ বালিয়া গ্রামের লাইলি বেগম ও পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার খালিশপুটি গ্রামের হাসিনা বেগম জানান, নগরকান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বাসায় তারা কাজ করতেন। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও পরিবারের সদস্যরা, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে, তাদের কাছ থেকে ৪ টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা নেয় এবং বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার নামে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ও নগরকান্দা থানা পুলিশকে জানালে, শনিবার (১৭ জুন) বিকালে নগরকান্দা পৌরসভার মিনারগ্রামের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে পুলিশ।
উপজেলা সমাজেসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী ও তার সন্তানরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমি এই সকর দুর্নীতির সাথে জড়িত না।
ঊাসায় তল্লাশীর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নগরকান্দা সার্কেল আসাদুজ্জামান সাকিল বলেন, গতকাল পুরিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১২২ টি ভাতা গ্রহীতা ফরম,১৩ টি মোবাইল ফোনসহ মাদক সেবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় নগরকান্দা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রী মুক্তা বেগম ও তার দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেও বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ফরিদপুর কোর্টে পাঠানো হবে।