বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ অন্যান্য নদণ্ডনদীর পানি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে দুঃশ্চিন্তায় নদী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচেছ। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার সমতলের নিম্নাঞ্চল। ফলে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে মৌসুমী শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
রোববার (১৮ জুন) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৩১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫৭ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বিপদ সীমার ২১১ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি জেলার ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের নয়ারহাটের আমজাদ আলী বলেন, গত ৪ দিন থেকে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী ভরে যাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যা হয়ে যাবে।
একই এলাকার জোবেদ আলী বলেন, নদীগুলোর বুকে চর জেগে জেগে গভীরতা কমে গেছে। গভীরতা না থাকার কারণে সামান্য পানি আসলে নদী ভরে গিয়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এগুলো খনন করা হলে বন্যার ক্ষতি কমে যেতো।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল গফুর বলেন, দুইদিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি খুবই বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে নদের পানি বৃদ্ধির ফলে এই ইউনিয়নের ভগপতিপুর এলাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এটা নিয়ে আশংকায় রয়েছে এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী আরও ৫-৬ দিন পর্যন্ত নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। যার কারণে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।