বিরলের ধামইর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবসহ ৫ জনের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে।
এর আগে ১০ জুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বিরল উপজেলার ৩ নং ধামইর ইউনিয়ন শাখা এর ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ৪ দিনের মাথায় ১৭ জন সদস্য পদত্যাগ পত্র জমা দেয়। পদত্যাগের কারণ হিসেবে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উত্থাপন করে নেতৃবৃন্দ। এর ২ দিন পরে ১২ জুন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল ও সদস্য সচিব মোঃ মুবাশ্বেরুল ইসলাম এর নিকট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা প্রদান করেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রুবেল হোসেনসহ ৫ জন সদস্য। পদত্যাগ প্রত্যাহারকারী নেতৃবৃন্দ হলেন- ১) মোঃ রুবেল ইসলাম- সদস্য সচিব, ২) আসিদুল ইসলাম, ৩) ফরমান আলী, ৪) মোঃ সাকিব (সাব্বির) ও ৫) মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রুবেল হোসেন জানান, পদত্যাগকারী যুগ্ম আহ্বায়ক সাহিরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলে আহ্বায়ক হতে পারেননি। আর আহ্বায়ক হতে না পারার ক্ষোভ হতে ভুল বুঝিয়ে নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর গ্রহণ করে তা পদত্যাগপত্র হিসেবে উপস্থাপন করেন। এ কারণে আমিসহ ৫ জন দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থা রেখে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি।
এছাড়াও মঞ্জুরুল ইসলাম ও লিটন নামীয় যে পদত্যাগপত্র জমা প্রদান করা হয়েছে সে নামীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের কমিটির সদস্য নামীয় ভিন্ন ব্যক্তি। ইতঃপূর্বে আহ্বায়ক ও ৩ জন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২ জন সদস্যসহ ৬ জন পদত্যাগপত্রে কোন স্বাক্ষর প্রদান করেননি। আমরা ১১ জন ঐক্যবদ্ধভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় ও জাতীয় যে কোন কর্মসূচি পালনে প্রস্তুুত আছি। আমরা ৩ নং ধামইর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো।