নাটোরের বড়াইগ্রামে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের বিরোধে দুটি সড়কে ঘন্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত নাটোর-পাবনা মহাসড়ক ও বনপাড়া-লালপুর আঞ্চলিক সড়ক ঘন্টাব্যাপী এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বনপাড়া সেন্ট যোসেফস স্কুল এ- কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজের সামনে রনি হোসেনের কনফেকশনারীর দোকানে নাস্তা খেতে আসে। পরে তারা নিজেরাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্কের জের ধরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকানী রনি তাদের বাধা দিলে এক শিক্ষার্থী মহিষভাঙ্গা এলাকা থেকে তার আরো বন্ধুদের ডেকে এনে রনিকে মারধরসহ তার দোকান ভাংচুর করে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে উত্তেজনা তৈরী হয়। বিষয়টি সমাধানে রোববার সকালে বনপাড়া পৌরসভায় সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সকালে সালিশের প্রস্তুতিকালে উভয়পক্ষ আবারও মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষই মারপিটের জন্য প্রতিপক্ষকে দায়ী করেন। পরে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ছাত্রদের বিচারের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে মিশন স্কুল মার্কেটের সামনে বনপাড়া-লালপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। একই সময়ে শিক্ষার্থীসহ মহিষভাঙ্গা এলাকার লোকজন পাল্টা বনপাড়া বাজারে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় দুটি সড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। পরে বনপাড়া পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবরোধে অংশ নিয়ে মহাসড়কে বসে পড়েন। এ সময় মেয়র সালিশে সংঘাত সৃষ্টির জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে দায়ী করে তাকেসহ অপর অপরাধীদের সন্ধ্যার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে আলটিমেটাম দেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসার আশ^াস দিলে দুপুর একটার দিকে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।