প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে বহুপ্রতিক্ষত মা মাছ ডিম ছেড়েছে। রাত পৌনে বারোটার দিকে মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করেছে। নদীর নাপিতেরঘাট, আমতুয়া ও আজিমের ঘাট সহ নদীর বিভিন্ন স্হানে মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করেছে। গত রোববার সকাল থেকে নদীর উপরী ভাগে নমুনা ডিম ছেড়েছিল। ডিম আহরনকারী ও সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল রাতে নদীতে জোয়ারের সময় মাছ ডিম ছাড়বে। ডিম ছাড়ার মাধ্যমে তাদের সেই প্রত্যাশা পুরন হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি জো/তিথি চলে গেছে। গেল জোতে ডিম না ছাড়ায় ডিম আহরনকারীদের মধ্যে হতাশা ছিল বৈ কি। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ডিম ছাড়ার পর ডিম আহরনকারীদের সেই হতাশা কেটে গেছে। জুন মাসে শেষ জোতে ডিম ছাড়বে এই প্রত্যাশা ছিল ডিম আহরনকারী ও সংশ্লিষ্টদের। তাদের সেই প্রত্যাশা ডিম ছাড়ার মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছে। নদীর অংকুরী ঘোনা থেকে খারিরমুখ রামদাসমুন্সির হাট পর্যন্ত প্রায় তিনশ নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম আহরণ করছে। নদীতে চলমান জোয়ার থেকে গতকাল সোমাবার ভোরে ভাঁটা পর্যন্ত ডিম ছাড়ার কার্যক্রম চলছে বলে জানান ডিম আহরনকারী ও হালদা গবেষকেরা।
হালদা গবেষক ড,শফিকুল ইসলাম জানান, গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটা পৌনে বারোটার দিকে নদীর আমতুয়া থেকে মাছ ডিম ছাড়া শুরু করেছে। জোয়ারের এই সময় পর্যায়ক্রমে নদীর উপরী অংশে ডিম ছাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরীর সমন্বয়, প্রানী বিদ্যাবিভাগের সভাপতি ও হালদা গবেষক অধ্যাপক ডঃ মনজুরুল কিবরিয়া নদীর আমতুয়া, আজিমার ঘাট, নাপিতের ঘাট প্রচুর পরিমান ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। জোয়ার সময় নদীর উপরীভাগে ডিম ছাড়বে। এখন হালদার পাড়ে বহুল প্রতিক্ষিত ডিম সংগ্রহের উৎসব চলছে। জোয়ার ও ভাটার মধ্যে মাছ নদীতে ডিম ছাড়বে। ডিম আহরনকারীরা এই মূহুর্তে ডিম আহরনের ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম ও নদীতে ডিম ছাড়ার বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।