দৌলতখানে বজ্রপাত পড়া তাল গাছে প্রচুর তাল 

এফএনএস (আবুল খায়ের; দৌলতখান, ভোলা) : : | প্রকাশ: ১৯ জুন, ২০২৩, ০২:১৭ এএম

ভোলার দৌলতখানে বজ্রপাতে (ঠাডা পড়া) ক্ষতিগ্রস্ত তালগাছে প্রচুর তাল ধরায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত এমন তালগাছটি দাঁড়িয়ে আছে ভোলার দৌলতখান পৌরসভা ভবন সংলগ্ন ডাক বাংলোর সামনে ভূমি অফিসের পুকুর পাড়ে। জানা যায়, বজ্রপাতে তাল গাছের মাথা সম্পূর্ণভাবে পুড়েছাই হয়ে যায়। এতে তাল গাছের মাথার নতুন পাতা বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায় গত দু'বছর আগেই। স্থানীয়রা আরও জানায় গত দু'বছর আগে ঠাডা পড়ে তাল গাছটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কিন্তু আল্লাহর অপার লিলায় প্রতি বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছটিতে ধারাবাহিকভাবে প্রচুর তাল ধরে আসছে। দৌলতখান সরকারি আবু আবদুল্লা কলেজ রোডের পাশে দৃষ্টি নন্দন তালগাছটি মাথায় প্রচুর তাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তালগাছটি জনবহুল রোডের পাশে হওয়ায় সহজেই পথচারীসহ সাধারণ মানুষের দৃষ্টি মূহুর্তেই একেবারে উড়ে যায় ক্ষতিগ্রস্ত গাছের মাথায়। নজিরবিহীন নজরকারা ক্ষতিগ্রস্ত তালগাছের মাথায় এবছর প্রচুর মৌসুমী পানি তাল ধরায় পথচারী ও কৌতূহলী মানুষের মন্তব্যের যেন অন্ত নেই। তীব্র গরমে কচি তালের শাঁস পানি তাল গ্রামীণ জনপদের মানুষের কাছে খুবই কদর রয়েছে। পানি তাল জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার হওয়ায় তালগাছটি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের তুমুল আলোচনা, জল্পনা কল্পনাও চলছে প্রতিনিয়ত। তালগাছ সংলগ্ন ফরিদ ডিলার জানালেন দুই বছর আগে ঠাডা পড়ে তালগাছটি পুড়ে যাওয়ার কথা শুনে আসছি, তবে গাছে তাল ধরা বন্ধ হয়নি। এমন কথা জানালেন ওই জায়গার অনেকেই। তালগাছটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভূমি অফিস কম্পাউন্ড রাজস্ব মসজিদের। ওই এলাকার মসজিদের মুসল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা জগলুল পাশা বললেন ক্ষতিগ্রস্ত তালগাছের বিষয় একই কথা। ভিন্ন কথা বললেন খলিল নামে এক ব্যক্তি তিনি জানান, পানি তাল ব্যবসায়ীরা তাল কাটতে গিয়ে দেখে গাছের মাথায় মধুপোকা, তাই মধুপোকা তাড়াতে গাছের মাথায় কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ায় গাছটির মাথা পুড়ে যায়। মসজিদের ইমাম ক্কারী ইব্রাহিম বললেন ঠাডা পড়ে গাছের মাথা পুড়ে যায়। মসজিদ কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত গাছের তাল গত বুধবার ৯শত টাকা বিক্রি করে দেয়। 

দৌলতখান উপকূলীয় এলাকায় এখন আর  তেমন তালগাছ দেখা যায় না। বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সরকারিভাবে কাবিখা - টিআর প্রকল্পের আওতায় তাল গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন দাবি এলাকাবাসীর।  

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW