নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে তাকে প্রভাবিত করার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা না মেলায় সোমবার (১৯ জুন) সকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে লিমনের পিতা রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবালের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে রোববার (১৮ জুন) রাত ১২টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারী রাজশাহীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে লিমনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত লিমনের মামা আবদুল হামিদ সরকার টেকন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ২২নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং আসন্ন নির্বাচনেও ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের দুইদিন আগে হঠাৎ করেই গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে লিমনের প্রবেশের খবরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন ও আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপ ওই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘেরাওকারীরা দাবি ছিল, নগরীর ২২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষ হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতেই মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঢুকেছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়। আর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে তল্লাসী চালালেও কোন টাকা পায়নি পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সাইফউদ্দীন শাহীন বলেন, ঘটনাটির খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমিও সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে থানা হেফাজতে থাকা লিমনকে সোমবার সকালে তার পিতা রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবালের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এদিকে টাকা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন দাবি করেন, লিমন নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন। কিন্তু একটি গুজব রটে যাওয়ায় এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে।