সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার দুইপাশের জমি প্রতিনিয়ত অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। এসব জমি অবৈধ দখলদাররা কথিত মালিক হয়ে প্রতি হাত হিসেবে তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রহমতপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকার। এনিয়ে সচেতন এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপদের জমি। রহমতপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এসব অবৈধ দখল বাণিজ্য চললেও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব দখল বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর এলাকায় প্রায়ই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে গতবছর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়কের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু উচ্ছেদের এক মাসের মধ্যে পূর্ণরায় অবৈধ দখলদাররা সরকারি এসব জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। কয়েক মাসের মধ্যে ফের দখলদারদের হাতে চলে যায় সড়ক ও জনপদের এসব জমি। এবার দখলদাররা প্রকাশ্যে সরকারি জমি ক্রয় বিক্রয় বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। গত এক সপ্তাহে মহাসড়কের জমি দখল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিসম্প্রতি সড়ক ও জনপদের জমি দখল নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। এরপরেও থেমে নেই সরকারি জমি বিক্রির বাণিজ্য। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি জমি বিক্রির সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবেনা।