নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা। এ পৌরসভার মেয়র একজন সুদক্ষ নারী। তিনি নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম অতিতের বকেয়া ৫১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। এরপর প্রতিমাসে সৈয়দপুর পৌরসভার চলমান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছেন। হঠাৎ করে ১৯ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ নেসকো সৈয়দপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া রাজশাহীর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনসহ দায়িত্ব পালনে আসেন সৈয়দপুর পৌরসভায়। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা পৌরসভায় এসে পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় জরুরী এক সভায় পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী নীলফামারী জেলায় অবস্থান করেন। মেয়রের অনুপস্থিতে একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ভাল দেখায় না। এ অবস্থায় পৌর প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেন পৌর কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে ওই বিদ্যুৎ কর্মকর্তাসহ তাদের লোকজনকে রাস্তায় গাড়ী লেগে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় প্রায় ৫ ঘন্টা। পৌরসভার কাউন্সিলরগন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের অফিসে বসার অনুরোধ করলেও তারা তা রক্ষা করেননি। শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান ঘটনা স্থলে এসে উভয়ের সাথে আলোচনা করে অবরুদ্ধ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে মুক্ত করে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, অতিতের মেয়র পৌরসভার বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ফেলে রাখেন প্রায় তিন কোটি টাকা। কেন ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা মেয়র বিল বকেয়া রাখলেন তা আমার জানার কথা না। তবুও আমি মেয়র হওয়ার পর ওই বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের মধ্যে ৫১ লাখ টাকা পরিশোধ করে থাকি। আর চলমান বিল প্রতিমাসে পরিশোধ করা হচ্ছে। আমার অনুপস্থিতিতে সোমবার বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন পৌরসভায় এসে একটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। যা নিন্দনীয়। এ বিষয়ে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী জুয়েল হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে যে বিল দাবি করা হচ্ছে ওই বিলগুলো হিসাব গরমিল আছে। আমরা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে বিলগুলো সঠিকের ব্যাপারে পত্র দিলেও তারা বিষয়টি কেন যেন এড়িয়ে যায়। পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার বন্ধ থাকার পরও বিল দেয়। কবে থেকে মিটার বন্ধ হল তা তারা জানেন না। অথচ গ্রাহক হয়রানি করতে তারা অযথা বিল দিয়ে গ্রাহককে হয়রানি করে থাকে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পৌরসভার কাছে বিল বকেয়া রয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ওই টাকা পরিশোধ না করায় আমরা সংযেগ বিচ্ছিন্ন করে দেই।