মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এই সময় গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক তৈরি করে তারা।
গেল রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের হোসেন্দী সড়ক পাড়া এলাকায় মাসুম মিয়ার বাড়িতে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মাসুম মিয়ার ছোট ভাই ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমার ভাই মাসুম মিয়া একই ইউনিয়নের হোসেন্দী গ্রামের মৃত মজিদ বেপারীর ছেলে মাহবুব গংদের সাথে একটি কোম্পানির জমি কেনা বেচা ব্যবসা করতেন। সে ব্যবসার সুবাদে আমার ভাই তাদের কাছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা পায়। তাদের কাছে সে পাওনা টাকা চাইতে গেলে আজ না কাল, কাল না পরশু টাকা দেবে বলে ঘড়ি মসি করে মাহবুব গংরা। এ নিয়ে মাহবুব গংদের সাথে আমার ভাই মাসুম মিয়ার দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সে বিরোধ কে কেন্দ্র করে রোববার মধ্যে রাতে মাহবুব মিয়ার ছোট ভাই বাবু, একই গ্রামের ইমন, ইমরান ও সুজন সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে দুই রাউন্ড গুলি করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিবাদ করলে তারা ইট ছুড়ে মারে। তাদের ছুড়া ইটে বিল্ডিং এর দুটি কক্ষের জানালার থাই গ্লাস ভেঙে যায়। আরেকটি ইট আমার শরীরে লাগে। পরে আমাদের চিৎকারে আসপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মাসুম মিয়া বলেন, তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাহবুবের ছোট ভাই সৈকত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে গত রোববার মধ্যে রাতে তার বাসায় হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এর দুমাস আগেও তারা গভীর রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে বলে জানান ভুক্তভোগী মাসুম মিয়া।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাহবুব মিয়া বলেন, বিএনপি নেতা মাসুম ওরফে কালা মাসুমের অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া কথা। আমার বাড়ির চারদিকে সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। ওই দিন রাতে আমার ভাই বাবু ও আমি কয়টার সময় বাড়িতে প্রবেশ করেছি আর বের হয়েছি সিসি ক্যামেরা ফুটেছ দেখলে আপনারা সত্যটা জানতে পারবেন।
গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, খবর শোনে ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছি। তবে গুলির শব্দ নাকি অন্য কিছু তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।গত কয়েকদিন ধরে উভয়পক্ষ নিজের শক্তি প্রদর্শনে নানা রকম কাজ করে যাচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।