বিআরটিসি খুলনা ডিপোর ম্যানেজার রাজু মোল্যাকে জড়িয়ে তার ড্রাইভার মামুন মোল্যার মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এখন শিরোমণি এলাকার প্রায় প্রতিটি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ম্যানেজার রাজু মোল্যার ড্রাইভার মামুন মোল্যাকে মাদক সেবন করতে দেখ যাচ্ছে। মাদক সেবনের এমন ভিডিও এবং ম্যানেজার রাজু মোল্যাকে জড়িয়ে লেখা স্টাটার্সে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ভয়ে কেহ মুখ না খুললেও প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেন রাষ্ট্রিয় এই প্রতিষ্ঠান রক্ষায় এবং সুনাম ধরে রাখতে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানের একটি দায়িত্বশীল সুত্রে জানাগেছে ভাইরাল হওয়া মাদক সেবনের ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিআরটিসি খুলনার শিরোমণিস্থ ডিপোর ড্রাইভার মামুন মোল্যা তার এক সহযোগিকে নিয়ে মাদক সেবন করছে। জেরিন আক্তার নামের ঐ ফেজবুক আইডি থেকে গত ১১ ও ১২ জুন ৪টি ভিডিও আপলোড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। গত ১২ জুন ঐ আইডি থেকে ছাড়া ভিডিও’র স্টার্টাসে লেখেন ম্যানেজার রাজু মোল্যা তার চালক মামুন মোল্যা ইয়াবা আসক্ত এবং ১২ জুন বিআরটিসি’র ম্যানেজার রাজু মোল্যার ড্রাইভার মামুন মোল্যার মাদক সেবনের ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে লেখা হয় ম্যানেজার রাজু মোল্যা একজন জুয়ারু। খানজাহান আলী থানা পুলিশ তাকে একবার আটক করেছিল। ভাইরাল হওয়া স্টার্টাসে আরো লেখা হয় মামুন মোল্যা দীর্ঘদিন যাবত ম্যানেজার রাজু মোল্যার ছত্রছায়ায় থেকে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে অবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিআরটিসি’র চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। ভয়ে কেহ মুখ না খুললেও প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেন রাষ্ট্রিয় এই প্রতিষ্ঠান রক্ষায় এবং সুনাম ধরে রাখতে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে মামুন মোল্যার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার বার ফোনটি কেটে দেন। অপর দিকে বিআটিসি খুলনা ডিপোর ম্যানেজারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কিছু না বল্লেও সরাসরি সাংবাদিকদের জানায, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যাদের দেখাযাচ্ছে সেই সুপারভাইজার এবং ড্রাইভারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে একটি তদন্ত টিম এসেছিল তারা তদন্ত করে গেছে। তাকে জড়িয়ে যে স্টার্টার্স দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন মাদকের সাথে আমার কোন সস্পৃক্ত নাই। স্টাটাসৃটি মিথ্যা হলে তিনি কি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন জিডি করেছি তবে জিডি কপি তিনি দেখাতে পারিনি এবং জিডির বিষয়ে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের দাবী যাদের বিরুদ্ধে মাদকের মতো একটি সেনসেটিভ বিষয়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসবেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।