কেশবপুর উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন হয়েছে বেশি। কুরবানির পশুর হাটে পশুর আমদানি ও মূল্য বেশি হলেও বিক্রি হচ্ছে অনেক কম। চোরাই পথে ভারতীয় গরু আমদানি হওয়ার আশাংখায় দেশীয় গরুর খামারিদের মাথায় হাত উঠেছে। কেশবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহার কুরবানির উপযুক্ত বিশুদ্ধ মাংসের গরু-মহিশ- ছাগল-ভেড়া আছে ১০ হাজার ৩৫৯ টি। এরমধ্যে গরু ৩ হাজার ৪৬২ টি ও ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৮৯৭ টি। উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে উবৃদ্ধ বেশি রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়দিন বাকী। ইতোমধ্যে কেশবপুর পশুর হাটে কুরবানির পশু বেচা-কেনা জমে উঠেছে। সোমবার ছিলো ঈদুল আজহা কোরবানির উপলক্ষে সবচেয়ে বড় পশুর হাট। পশুর হাট পরিদর্শন কালে দেখা গেছে পশুর হাটে কুরবানির গরু ছাগলের প্রচুর আমদানি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন প্রতিহাটে স্থানীয় জাতের গরু-ছাগলের আমদানি ভালোই হচ্ছে দামও মুটামুটি ভালো কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভারতীয় বর্ডারদিয়ে চোরাই পথে প্রচুর গরুর আমদানি হতে দেখা যাচ্ছে। এই গুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে দেশীয় গরুর খামারিরা চরমভাবে মার খেয়ে যাবে। গরুর খামারি কামাল হোসেন বলেন কোরবানি পশুর হাটে ভারতীয় গরুর আমদানির আতঙ্কে রয়েছি। যদি চোরায় পথে গরুর আমদানি বন্ধ না হয় তাহলে দেশীয় গরুর খামারিরা চরমভাবে মার খাবে। কেশবপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ অলোকেশ কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলায় ছোটবড় অনেক গরু ছাগল পালনকারী খামারি রয়েছে। তাঁরা কুরবানির ঈদের হাটে কুরবানির গরু ছাগল বিক্রি করার জন্য নিজেদের বাড়িতে গরু ছাগল পালন করেছে। তারা যদি পশুর উপযুক্ত মূল্য না পায় তাহলে তারাও গরুছাগল পালনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। কেশবপুর পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ইজারাদার ইকবল হোসেন তোতা সাংবাদিকদের বলেন অনেক চড়া মূল্যে পশুর হাট ইজারা নিতে হয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে পশুর আমদানিও ভালো। কিন্তু বেচা-বিক্রি খুব কম হচ্ছে। যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ না হয় এবং বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা আমাদের হাটে কুরবানির গরু ছাগল কিনতে না আসে তাহলে হাট ইজারাদারের বড়ো ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।