কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গোপনে ধারণকৃত অন্ধকারাচ্ছন্ন ৫০সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায় উপজেলা রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল আহমেদ ইয়াবা সেবন করছেন। একটি আবদ্ধ ঘরে কয়েকজন মিলে ইয়াবা সেবন করছেন। তবে এই ভিডিওটি কতদিন আগে ধারণ করা হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ভাইরালকৃত ভিডিও'র প্রতিবাদে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ব্যবহৃত একটি ফেসবুক ওয়ালের পোস্টে উল্লেখ করা হয় "একটি মহল প্রায় সাত বছর আগে ডেকে নিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করেছেন।" তবে তিনি মাদকসেবী নন, ডোপ টেস্টের দাবিও তোলা হয় ওই পোস্টে। তবে পোস্টটি কিছু সময় পর ফেসবুক ওয়াল থেকে মুছে ফেলা হয়।
এই বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খায়রুল আহমেদ বলেন, ভিডিওতে মাদক সেবনের দৃশ্যে আমার ছবি এডিট করে বসানো হয়েছে। ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে সেটা আমি নই। মাদক সেবনকৃত ছবির সাথে আমার কোন মিল নেই। আমার নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে যে পোস্ট করা হয়েছে তা আমার নয়। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আমি জেলা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমি গত শনিবার থানায় একটি জিডি করেছি।'
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতির মাদক সেবনের ভিডিওটি সত্যতা রয়েছে। রোববার উপজেলা যুবলীগের শান্তি সমাবেশে তার বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি। কেননা ভিডিওটি ভাইরাল হবার পর থেকে সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই সরকার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এই ভিডিও আমি দেখেছি। আমি নিশ্চিত ভিডিওর ব্যক্তি ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল। আমরা জেলা কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি।'
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওটি যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।