মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার ওসির নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নম্বর ক্লোন করে বিকাশে ভূলে টাকা পাঠিয়েছে দাবী করে ওই টাকা ফেরত চাচ্ছে। ওই প্রতারক চক্র ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বলছেন ভূলে টাকা গেছে। ফেরত দিন অমি থানার ওসি বলছি। টাকা ফেরত না দিলে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রাখব। কিন্তু একটু পরেই ওই নম্বরে ফোন দিলে সিমটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বুধবার সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের অফিস সহায়ক আবদুল বারেকের কাছে ০১৩০৪৫৫৭৪৭১ নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজে দেখা যায় বারেকের মোবাইলে ওই নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা ভূলে পাঠানো হয়েছে বলে দাবী করে। কিন্তু মেসেজ পেলেও বিকাশ একাউন্টে কোন টাকা আসেনি। ওই প্রতারক চক্র সাটুরিয়া থানার ওসি বলে পরিচয় দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে ওই মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে সিমটি বন্ধ পাওয়া যায়।
একই প্রতারক চক্র মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারি ইন্সেপেক্টর মোছা. ঝর্ণা আক্তারকে একই নম্বর থেকে টাকা ফেরত চাই। এই কর্মকর্তাকে বলা হয় আপু আপনার মোবাইলে ভুলে ১৫ হাজার টাকা চলে গেছে। আপনি যদি টাকাটা ফেরত দিতেন। তার পরিচয় জানতে চাইলে বলেন আমি সাটুরিয়া থানার ওসি। কিন্তু মেসেজে গিয়ে দেখা যায় মেসেজ এসেছে কিন্তু টাকা আসেনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ^াস বলেন, একটি প্রতারক চক্র সাটুরিয়া থানার ওসির নাম ব্যবহার করে মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা ফেরত চাচ্ছে। যে নম্বর দিয়ে টাকা ফেরত চাচ্ছে সেটি ওসির নম্বর নয়। ঈদকে সামনে রেখে একটি প্রতারক চক্র এ কাজ করছে বলে তিনি জানান। তবে ওই প্রতারক অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।