ক’দিনের টানা অবিরাম ভারী বর্ষণ ও প্রতিবেশী দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ,ইসলামপুরে, মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জানাগেছে ১৯.০৫ সেন্টি মিটার বিপদ সিমার ০.৫০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হেেচ্ছ। যে ভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হবে।
বুধাবার (২১জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধিও সাথে সাথে ইসলামপুর উপজেলায় নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাটমা গ্রামটি যমুনা নদীতে বিলিন হচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার হাসর আলী,রমজান মন্ডল,আব্দুল বারীক,শহিদুর রহমান জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে যমুনা পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রবল ভাঙ্গনের হুমকিতে কাঠমা,ভাংবাড়ী,টগারচর, মাইজবাড়ী জনতা বাজারসহ শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি ভাঙ্গন আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে ঘর বাড়ি হারিয়ে খোলাকাশের নীচে কিংবা অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এলাকাবাসী আরো জানান, গত বছর নদী ভাঙ্গনের সময় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও সঠিক ভাবে ডাম্পিং করেনি।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রুমান হাসান বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কাটমা গ্রামে ব্যাপক ভাংগন শুরু হয়েছে। আমি জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু.তানভীর হাসান রোমান জানান,বিষয়টি আমি জেনেছি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন রোধকল্পে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবী জানিয়েছেন।