আর ৮ দিন পর কোরবানি ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভৈরবের কর্মকার সম্প্রদায়ের লোকজন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরলসভাবে দা, ছুরি ও বটি তৈরির কাজে ব্যস্ত তারা। কোরবানি উপলক্ষে অর্ডার নেয়া ধারালো অস্ত্র ঠিক সময় তৈরি করে দিতে দিন-রাত কাজ করছেন।
দিন কি রাত, কান পাতলেই শোনা যায় ঠুংঠাং শব্দ। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানাতে আগুনের শিখায় লোহাকে পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব দা, ছুরি, কুড়াল, বটি, চাপাতি অত্যাবশাকীয়। কোরবানির আগে এসব উপকরণ হাতের কাছে না থাকলেই নয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তত রাখতে ব্যস্ত সবাই। তাই এসব কিনতে এখন কামারের দোকানে আগের মত ভির জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ভৈরবে প্রায় ৩০ টি দোকানে ২ সহস্রাধিক কামার রয়েছে ভৈরবের সবচেয়ে বড় কামারপাড়া হিসেবে পরিচিত রাণীর বাজার কামারপাড়া। সেখানকার কর্মকার নতুন নতুন দা, ছুরি ও বটিসহ নানান ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজ।
কারিগররা জানান, কোরবানি দিন সকাল পর্যন্ত দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত সময় পার করেন। শুধু রাণীর বাজার কামারপট্রিই নয়, নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে পল্লী এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারপট্রিও কামারদের ব্যস্ততা একই রকম চোখে পড়ে। কেউ আবার পুরনো দা, ছুরি,বটি ঝালাই দিয়ে ধারালোর কাজ করছে। তবে চায়নার তৈরি দা, ছুরি ও বটি থাকায় অনেকে রেডিমেট দা, ছুরি ও বটি ক্রয় করেনা না তাই শেষ দিকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
এ বছর কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রের মধ্যে প্রতি পিস বটি প্রকারভেদে ৩শ-৮শ দা সাড়ে ৩শ- ৮শ বড় ছুরি ,৪শ থেকে ১ হাজার ছোট ছুরি ৫০ থেকে ২শএবং চাপাতি ৭শ থেকে ১২শ টাকায়।
দোকানে আসা ক্রেতা সুমন মিয়া বলেন আর ৮ দিন পর ঈদুল আযহা তাই আগে থেকে কোরবানি দেয়ার জন্য ছুরি দা কিনতে অসেছি পাশাপাশি পুরনো দা, ছুরি,বটি সান দেয়ার জন্য ধারালোর কাজ করতে নিয়ে এলাম অন্যান সময়ের তুলনায় দা, ছুরির,দাম, অনেক বেশি রাখছেন বলে অভিযোগ করেন।