বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত (বিএসএমএমইউ) নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা দেওয়া হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে ভাতা দেওয়া বন্ধ থাকায় নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা আন্দোলন করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ভাতা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসএমএমইউর উপাঁচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চেক হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেক নন রেসিডেন্ট চিকিৎসককে বকেয়া বাবদ গত নয় মাসের ভাতা হিসেবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে মোট ১ হাজার ৫শ জনের মধ্যে দেওয়া হয়। ভাতার পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা। অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনো সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে সরকারকে বিব্রত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করবো। মনে রাখা দরকার, আমিই প্রথম নন রেসিডেন্টদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে ১০ হাজার ছিল, পরে তা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার করা হয়। এ সময় তিনি নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রেসিডেন্ট চিকিৎসক, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের অবশ্যই বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণের এ সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা নষ্ট করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রাধান্য দেওয়া হবে। সে কারণেই ওই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া বা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রোগীদের বিশ্বমানের সেবাদানের মাধ্যমেই রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব। সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিতে হবে। অনুষ্ঠানে উপণ্ডউপাঁচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক একেএম মোশাররফ হোসেন, উপণ্ডউপাঁচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপণ্ডউপাঁচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার তপাদার, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) গৌর কুমার মিত্র, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসক রুহুল আমিন তুহিনসহ সব অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, অফিস প্রধানরারা উপস্থিত ছিলেন।