নির্মাণের ৮-১০ বছর পরই কার্লভার্টের উপরের ছাঁদ ভেঙ্গে ফাঁকা হয়ে গেছে। ওই ফাঁকা দিয়ে পড়ে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। প্রাণহানির শঙ্কায়ও ভুগছেন পথচারীরা। উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ দৌলতপাড়া (পশ্চিম) এলাকায় চার রাস্তার মোড়ে পুরাতন কার্লভার্ট ভেঙ্গে নির্মিত নতুন কার্লভার্টের মাঝখানে তৈরী হয়েছে বিশাল আকৃতির এই ফুটো। সরজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই চার রাস্তার মোড় হয়ে উত্তর কালীকচ্ছ, ধর্মতীর্থ, দৌলতপাড়ার লোকজন উপজেলা জেলা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়ত করে থাকেন। একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয় ও সদ্য চালু হওয়া উত্তর কালীকচ্ছ মডেল স্কুলের বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরাও এই মোড় হয়ে যেতে হয়। মাটির রাস্তা থাকাকালেই গত ৩০-৪০ বছর আগে এই মোড়ে নির্মিত হয়েছিল একটি কার্লভার্ট। অত্যন্ত মজবুত ও টেকসই ছিল এটি। গত ৮-১০ বছর আগে পুরাতন কার্লভার্টটি ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে নতুন একটি কার্লভার্টটি নির্মাণ করেন কর্তৃপক্ষ। শুরূতেই নি¤œমানের কাজ ও সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকাবাসী। তারপরও কোন রকমে জোড়াতালি কাজটি শেষ করেছেন ঠিকাদার। মাত্র ১০ বছর না যেতেই কার্লভার্টটির মাঝখানের ঢালাই পড়ে বড় আকৃতির ফুটো হয়ে গেছে। দিনে রাতে এই কার্লভার্টের উপর দিয়ে চলে লোকজন। যেকোন বয়সের নারী পুরূষের পা ফুটোতে পড়ে ভেঙ্গে পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশু পড়লে রয়েছে নিশ্চিত প্রাণহানি ঘটার শঙ্কা। তাই পথচারীরা অনেকটা আতঙ্কেই চলছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, আগের কার্লভার্টটাই অনেক ভাল ছিল। টেকসই ছিল। নতুন নির্মিতটির কাজ ও ব্যবহৃত মালামালের মানও ছিল খুবই নি¤œমানের। আর এ জন্যই এত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে গেছে। উত্তর কালীকচ্ছ মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান বলেন, আমার অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থী এই কার্লভার্টের উপর দিয়ে সকাল বিকাল যাতায়ত করছে। এই ফুটোতে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনার শঙ্কায় থাকি সবসময়। কালীকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন বলেন, ওই ফুটোটি পথচারীদের জন্য শঙ্কার কারণ। কাজটির সময় আমি ছিলাম ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।