বজ্রসহ ঝড়োবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক মিনিট স্থায়ী ঝড়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ৪টি ইউনিয়নে লল্ডভন্ড হয়েছে ঘরবাড়ি, উড়ে গেছে ঘরের টিন, ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা। ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় একশত হেক্টর জমির কলা, সবজি এবং ভূট্টাসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়োবৃষ্টিতে পৌরসভাসহ ১১টি ইউপির ৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নগুলি হলো সুজালপুর, নিজপাড়া, ভোগনগর ও মরিচা।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ঝড়োবৃষ্টিতে ৩০হেক্টর জমির কলা বাগান আক্রান্ত হয়েছে।এতে ২৫হেক্টর জমির কলা বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ১০০জন। শাকসবজি আক্রান্ত হয়েছে ১৫হেক্টর জমি এবং ক্ষতি হয়েছে ১০হেক্টর জমির শাকসবজি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ১৫০জন। ভূট্টা আক্রান্ত হয়েছে ৫০হেক্টর জমি। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৫হেক্টর জমির ভূট্টা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ১৮০জন।
ভোগনগর ইউপির ব্যবসায়ী মোঃ রেজাউল করিম মনি জানান, ঝড়োবৃষ্টিতে কবিরাজহাট আল জামিয়াতুল কাইয়ুমিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ঘরবাড়ী ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুজালপুর ইউপির চাকাই গ্রামের নাদিম হাসান নাসিম জানান, ঝড়ে ঘরের উপর গাছ পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণের রক্ষা পায় পরিবারে সদস্যরা। তবে টিনসহ ঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে রাতে কাটাতে হয়েছে পরিবারের লোকজনকে।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানা জানান,ঝড়ে কয়েকটি ইউনিয়নের কিছু ঘরবাড়ী এবং গাছপালাসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাইনি। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য কাজ শুরু করেছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।