কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী ও কুলিয়ারচর নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষ গত কয়েক বছর ধরে বাড়িঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের আছানপুরসহ কয়েকটি গ্রাম গত ২০-২৫ বছর ধরে ঘোড়াউত্রা নদীর কড়াল আঘাতে প্রায় কয়েকশত পরিবার নদীর ভাঙ্গনে কবলিত হয়ে বাড়িঘর হারিয়েছেন। বিশেষ করে আষাঢ় মাস এলেই পানির প্রবল জোয়ার-ভাটা ¯্রােতের আঘাতে বেশি ভাঙ্গন হয়। এ ছাড়া একেবারে নদীর পাশের গ্রামগুলো ঢেউয়ের আঘাতে পরিবারগুলো বাড়িঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। জনশ্রুতি রয়েছে বছরের পর বছর নদী ভাঙ্গনে কয়েকশত পরিবার নিজেদের গ্রাম ফেলে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেউ বা রিক্সা চালক, কেউবা বিভিন্ন গার্মেন্টেস্-এ চাকুরী করে নিজেদের পরিবারকে কোনরকমভাবে বাঁিচয়ে রেখেছেন। নিজেদের নদীর ধারে জাল দিয়ে মাছ ধরা পেশা ছেড়ে দিয়ে তারা এখন মত্ত হয়েছেন। অন্যদিকে নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ধনু নদী কড়াল আঘাতে সিংপুরের পশ্চিম ও পূর্বপাড়ের গ্রামগুলি একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। একই উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের মূল ছাতিরচর গ্রামটি ভ্রহ্মপুত্র ও ধনু নদীর কড়াল আঘাতে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু নতুন করে বসতি করে আসছে গত ১৫-২০ বছর ধরে এলাকার কিছু জনগণ। এরপরেও তারা এখনও আশা ছাড়েনি। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা গ্রামবাসীদের বলে থাকে তারা পাশ করলে এ গ্রামকে রক্ষা করবে। কিন্তু এর বালাই নেই বললেই চলে। অনুরূপভাবে বর্তমান বাজিতপুর-নিকলী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলার সিংপুর ও ছাতিরচর গ্রাম প্রতিরক্ষা দেওয়াল ও নদী খনন কাজে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এসেছেন। অচিরেই এর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোঃ আফজাল হোসেন বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন।