রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত অপর তিন মেয়রপ্রার্থী জামানত হারাতে যাচ্ছেন। কারণ নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এই তিনজন কম সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। এরা হচ্ছেন- ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) ও জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল)।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীকে মোট ভোটারের ৮ ভাগের অন্তত ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী তা না পান তাহলে তার জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে। যে বিধান মোতাবেক এই তিন মেয়রপ্রার্থী জামানত হারাবেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চারজন মেয়রপ্রার্থীর সকলের মোট প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৮। এই প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৪৫৭ ভোট। কিন্তু একমাত্র খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া অন্য কোনো মেয়রপ্রার্থী সমপরিমাণের ভোট পাননি। ফলে অপর তিন মেয়রপ্রার্থী জামানত হারাবেন।
এর আগে বুধবার (২১ জুন) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে মোট ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৭০টি। আর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। যদিও তিনি অনেক আগেই ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়া অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে ৩য় অবস্থানে এবং জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ১০ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে ৪র্থ বা শেষ স্থানে রয়েছেন।